প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,৩০ এপ্রিল : পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরে বর্ধমানের সুরাঙ্কুর নন্দী যে নম্বর প্রাপ্তির প্রত্যাশা করেছিল, মিললো তার থেকেও বেশী। আই সি এস সি র দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় সুরাঙ্কুর নন্দী১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বামচাঁদাইপুরে সেন্ট পলস স্কুল থেকে এবার দশম শ্রেণীর পরীক্ষা দেয়। সুরাঙ্কুরের পড়াশোনায় পাশাপাশি ছবি আঁকা ও আবৃত্তি করা তার নেশা।সে প্রতিদিন ১২ ঘন্টা করে পড়াশোনা করে। তার ৮ জন জন টিউটর ছিলেন। তার ইচ্ছা ভবিষ্যতে নিট পরীক্ষা দিয়ে চিকিৎসক হবে।
সুরাঙ্কুরের বাবা সুরজিৎ নন্দী বলেন, বরাবরই আমার ছেলে পড়াশোনায় খুবই মনোযোগী। ক্লাসের প্রতিটি পরীক্ষাতেই ভাল নম্বর পেয়েছে। কেজি থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত সেন্ট পলস স্কুলেই সুরাঙ্কুর পড়ছে। তবে তার হাতে খড়ি আনন্দ মার্গ স্কুলে। কোন দিনই স্কুলে বা কোথাও খারাপ ব্যবহার করার অভিযোগ আসেনি বলে তিনি জানান । সুরজিৎ নন্দী এও বলেন,পরীক্ষা দিয়ে আসার পর আমার ছেলে যে নম্বর প্রাপ্তির আশার কথা শুনিয়ে ছিল সেটাই এদিন রেজাল্টের দিন দেখা গিয়েছে। তবে দশম শ্রেণীর রেজাল্ট অভাবনীয় বলেন বাবা সুরজিৎ। তিনি জানান, আমরা আশা করেছিলাম ৯৯ শতাংশের কাছাকাছি নম্বর থাকবে। কিন্তু রেজাল্টে দেখা গেল তার থেকেও বেশি নম্বর পেয়েছে তার ছেলে।
সুরজিৎ নন্দী বর্ধমান শহরের একটি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেন। তার ইচ্ছা ছেলে ভবিষ্যতে ভাল পড়াশোনা করে চিকিৎসক হবে এবং গরীব মানুষদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবে। বাবার ইচ্ছা ছিল চিকিৎসক হওয়ার, কিন্তু এখন তাঁর ছেলে তাঁর সেই অপূর্ণ ইচ্ছা পূরণ করবে বলে অনুমান সুরজিৎ বাবুর।মা রিঙ্কু নন্দী গৃহবধূ। তিনি বলেন, আমরা আশা করেছিলাম ছেলে ভালো রেজাল্ট করবে।প্রতিদিন গড়ে ১২ ঘন্টা করে পড়তো।তবে একটানা নয়।মায়ের ইচ্ছে ছেলে চিকিৎসক হবে। সুরাঙ্কুর জানায়, খেলাধুলা করার সময় পাই না।তবে মোবাইলে চেস খেলি।।