এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,০৩ ফেব্রুয়ারী : গুজরাট দাঙ্গার উপর নির্মিত বিবিসির অপপ্রচার মূলক তথ্যচিত্রটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্লাটফর্মে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র । কিন্তু এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র এবং নরেন্দ্র মোদী বিরোধী বলে পরিচিত সাংবাদিক এন রাম ও অ্যাডভোকেট প্রশান্ত ভূষণরা । তারা বিবিসির ওই তথ্যচিত্রটির উপর নিষেধাজ্ঞা জারির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রীম কোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেছিলেন । তাতে তারা পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার উপর অন্তর্বর্তী আদেশ দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান । কিন্তু অন্তর্বর্তী আদেশ দিতে স্পষ্টভাবে অস্বীকার করেছেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি এম এম সুন্দরেশের ডিভিশন বেঞ্চ । তার পরিবর্তে ডকুমেন্টারির উপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কেন্দ্র সরকারের কাছে জবাব চেয়েছে শীর্ষ আদালত । শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩) ডিভিশন বেঞ্চ এই বিষয়ে কেন্দ্রকে তিন সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলেছে । আগামী এপ্রিল মাসে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ।
প্রসঙ্গত,গুজরাট দাঙ্গার মামলা থেকে নরেন্দ্র মোদীকে সুপ্রীম কোর্ট অব্যাহতি দিলেও বিবিসির নজরে তিনি দোষী । আর ভারতকে বদনাম করতে ওই ব্রিটিশ মিডিয়াটি গোধরায় ৫৯ জন কর সেবকদের হত্যাকাণ্ডকে পরিকল্পিতভাবে লঘু করে দেখিয়ে হত্যাকারীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে । অনেকের মতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ‘ডিভাইড এন রুল’ নীতি কাজে লাগিয়ে ভারতকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে ওই ব্রিটিশ মিডিয়া কোম্পানীটি । এদিকে বিবিসির বিতর্কিত ডকুমেন্টারিটি নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন বিজেপি সাংসদ তথা বর্ষীয়ান অ্যাডভোকেট মহেশ জেঠমালানি । তাঁর অভিযোগ,একটি চীনা কোম্পানির কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিবিসি ভারতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে । শুধু তাইই নয়, তিনি বিবিসিকে ভারতবিরোধী এবং বিক্রি হয়ে যাওয়া মিডিয়া বলে অবিহিত করেছেন ।
কিন্তু সবকিছু জেনে বুঝেও ওই তথ্যচিত্রটিকে অস্ত্র হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রয়োগ করতে চাইচ্ছে মোদী বিরোধী রাজনৈতিক দল ও কট্টরপন্থী সংগঠনগুলি । বিতর্কিত তথ্যচিত্রের স্ক্রিনিং নিয়ে দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং ‘জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ) অনেক তোলপাড় হয়েছিল । যদিও কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই তথ্যচিত্রটি দেখানোর ব্যবস্থা করেছিল বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি ।।