ভারতের রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশী মুসলিম অনুপ্রবেশ যত বাড়ছে ততই বেড়েই চলেছে বিভিন্ন অপরাধের ঘটনা । তবে সবথেকে বিপজ্জকক হয়ে উঠেছে ইসলামিক জিহাদ । আর সেই জিহাদের জন্য বহু জায়গায় জনবিন্যাসের আমূল পরিবর্তন ঘটে গেছে । ইসলামি জিহাদ সম্পর্কে বর্ণনা দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় বলেছেন, উত্তরপ্রদেশের বারেলিতে ৪৬ টি লাভ জিহাদের ঘটনা সামনে এসেছি । তিনি বলেছেন,আগে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং মালদ্বীপে ১০০% হিন্দু ছিল কিন্তু এখন ভারতের ৯টি রাজ্য, ২০০টি জেলা এবং ১৫০০টি তহসিলে তারা সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত। তার দাবি, লাভ জিহাদ, ল্যান্ড জিহাদ, ড্রাগ জিহাদ, কনভার্সন জিহাদ, অনুপ্রবেশ জিহাদ এবং জনসংখ্যা জিহাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োজন।
অশ্বিনী উপাধ্যায় একটা ভিডিও বার্তায় ভারতের ইসলামিক জিহাদের গতিবিধি এবং তার ফলাফল সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন । আরে জিহাদের জন্য ২০১০ সালে কংগ্রেসের আনা এফসিআরএ আইনকে তাই করেছেন তিনি । ভিডিওতে অশ্বিনী উপাধ্যায় বলেন, উত্তরপ্রদেশের বারেলিতে ৪৬ লাভ জিহাদের মামলা সামনে এসেছে । এক জেলায় একসাথে ৪৬ টা লাভ যাদের মামলা ধরা পড়েছে । একই অবস্থা রাজস্থানে চলছে। একই অবস্থা মহারাষ্ট্র চলছে । যদি এক একটা জেলা থেকে ৪৬ টা করে লাভ জিহাদের ঘটনা সামনে আসে তাহলে আপনারা ভাবুন পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ ।’
তিনি বলেছেন,’কিন্তু সমস্ত লাভ জেহাদের মামলা প্রকাশ্যে আসে না৷ হয় উধাও হয়ে যায়, পালিয়ে যায়, সমাজে লজ্জার কারণে মা-বাবা বিষয়টা প্রকাশ্যে আনে না । আপনারা এটা ধরতে পারেন যে ৫০ শতাংশ লাভ জিহাদের মামলার অভিযোগ হয় এবং বাকি পঞ্চাশ শতাংশ এমনিতেই ধামাচাপা পড়ে যায় । ফলে মানুষ জানতেই পারেনা ।’ তিনি বলেন,উত্তরপ্রদেশে মাননীয় যোগীজীর মুখ্যমন্ত্রী, রাজস্থানে মাননীয় ভজন লাল মুখ্যমন্ত্রী আছেন । দুই জায়গাতেই বিজেপির সরকার । এই কারণে আমি বলি যে চিকিৎসক যত ভালোই হোক ওষুধ ঠিকমতো না হলে রোগ সারবে না । যোগী আদিত্যনাথ যতই সৎ,পরিশ্রমী, কঠোর হোন না কেন,তার যা যা করণীয় সবকিছুই করছেন, তারপরেও উত্তরপ্রদেশের রাজ্যের ঘটনা ঘটে চলেছে । আর শুধু একটা জেলাতে ৪৬ টা লাভ জিহাদের ঘটনা ঘটেছে ।’
অশ্বিনী উপাধ্যায় বলেন, উত্তরপ্রদেশে অনুপ্রবেশকারীরা এখনো আসছে, ধর্মান্তরন এখনো চলছে ৷ ভুয়া রেশন কার্ড, ভুয়া লাইসেন্স, ভুয়া জন্মসংসাপত্র, ভুয়া ভোটার কার্ড এখনো তৈরি হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের যোগীজি কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন, বুলডোজার চালাচ্ছেন তারপরও এই সমস্ত ঘটনা ঘটছে । কেন জানেন ? কারন কারোর শাস্তি হয় না ।
আর সাজা কেন পাচ্ছে না ? কারণ আমাদের আইনে যে পরিবর্তন দরকার তা করা হয়নি । ভারতের সংবিধানের ১৪ ধারায় বলা হয় আইনের সামনে সবাই এক এবং তারা এক ছাতার তলায় । এই ধারা অনুযায়ী প্রত্যেক অপরাধীর সমান সাজা পাওয়া দরকার ।
অশ্বিনী উপাধ্যায় বলেন,লাভ জিহাদ হলো গোটা রাষ্ট্রের সমস্যা । লাভ জিহাদ উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাট, বিহার, উড়িষ্যাসহ গোটা দেশের সমস্যা৷ এটা দিল্লিরও সমস্যা । কিন্তু আমাদের ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় লাভ জিহাদ নিয়ে কোন চ্যাপ্টার নেই । লাভ জিহাদের ট্রেনিং কোথায় পায় ? কোন স্কুলে পায় ? যে স্কুলগুলোকে সংখ্যালঘুর নামে চালানো হয়৷ আর কেন স্কুলগুলো চলছে ? কারণ আমরা সংখ্যালঘু কারা সেটাই চিহ্নিত করি নাই । যদি সেটা করা হতো কমসে কম সেই স্কুলগুলো বন্ধ হয়ে যেত, যেগুলি থেকে লাভ জিহাদের ট্রেনিং চলে ।
তিনি বলেন, লাভ জিহাদের জন্য ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা মাথা কিছু আসে ৷ যদি ব্রাহ্মণ, জৈন,মাড়োয়ারি আগরওয়াল, বৈশ্য সমাজ, সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে হয় তাহলে সেই সমস্ত লাভ জিহাদের ক্ষেত্রে ১০ লাখ টাকা করে আসে৷ গরিব দলিতের মেয়ে হলে ২ থেকে ৫ লাখ পর্যন্ত টাকা পায় জিহাদিরা । আর প্রতিদিন এক হাজার মেয়ে এই ফাঁদে পড়ে যাচ্ছে । তারা হয় লাভ জিহাদের শিকার হচ্ছে অথবা তাদের মেরে ফেলা হচ্ছে ।
কেন এটা হচ্ছে ? কারণ কেন্দ্রীয় স্তরে আমাদের কাছে এ নিয়ে কোন আইনই নাই । এই লাভ জিহাদ কেন চলছে ? কারন ২০১০ সালে কংগ্রেস যে এফসিআরএ এনেছিল, বিদেশি ফান্ডিং করানোর জন্য, এই আইন এখনো চলছে তাকে বিলুপ্ত করা হয়নি । আর সেই আইন বন্ধ করা হয়নি তাই বিদেশি ফান্ডিংও বন্ধ হয়নি । বিদেশে ফান্ডিং এই কারণেও চলছে কারন আমরা ইউনিফর্ম ব্যাংকিং কোড আনিনি । বিদেশি ফান্ডিং এই কারণে চলছে কারণ হাওলার বিরুদ্ধে কোন কঠোর আইন আনি নাই । আমরা ১০০ টাকার উর্ধ্বে বড় নোট বন্ধ করিনি৷
তিনি বলেন, লাভ জিহাদের ফান্ডিং হয় মূলত মাদক পাচারের টাকা থেকে৷ মাদক পাচারের টাকা লাভ জিহাদে খরচা করা হয় । আমরা ড্রাগ জিহাদ বন্ধ করার জন্য কোন কঠোর আইন আনি নাই । তাই লাভ জিহাদে মাদক পাচারের টাকা এখনো চলে আসছে । আজ লাভ জিহাদ এবং ধর্মান্তরন আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় অভিশাপ ।
তিনি বলেন,ব্রিটেনের এমন একটা শহর আছে যেখানে অনুপ্রবেশকারীরা সংখ্যাগুরু হয়ে গেছে । ব্রিটিশরা সংখ্যালঘু হয়ে গেছে । সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে যে অনুপ্রবেশকারীরা বৃটেনের মূল বাসিন্দাদের মেয়েদের নিপীড়ন করছে,ধর্ষণ করছে । আমরা যদি এটা ভেবে বসে থাকি ভারত ১০০ কোটি হিন্দু দেশ তাহলে আমি আপনাকে বলে দিতে চাই যে আফগানিস্তানের প্রথমে ১০০ শতাংশ হিন্দু ছিল , পাকিস্তানের ১০০% হিন্দু ছিল, বাংলাদেশে প্রথমে ১০০% হিন্দু ছিল, মালদ্বীপে ১০% হিন্দু ছিল । আর আজকে আফগানিস্তান পাকিস্তান বাংলাদেশ মালদ্বীপের কথা ছাড়ুন ভারতের ৯ রাজ্যের ৮০০ জেলার মধ্যে ২০০ জেলা হিন্দু শূন্য হয়ে গেছে৷ আর ৬০০০ তহশিলের মধ্যে ১৫০০ তহশিলে হিন্দু নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে । ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকার যে তিনশ তহশিল আছে সব হিন্দু শূন্য হয়ে গেছে৷
আর হিন্দু কেন শেষ হয়ে যাচ্ছে ? তার প্রধান কারণ হলো লাভ জিহাদ, ড্রাগ জিহাদ, অনুপ্রবেশ জিহাদ, ধর্মান্তরন জিহাদ, জনসংখ্যা জিহাদ৷ জনবিন্যাসের যে পরিবর্তন হচ্ছে এই পাঁচটি হলো তার প্রধান কারণ । আর জনবিন্যাস কতটা ভয়ংকর ভাবে বদলে যাচ্ছে সেটা যদি আপনি জানতে চান তাহলে নিজের গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোটার লিস্টের বর্তমান এবং ২৫ বছর আগেকার পরীক্ষা করে দেখুন৷ বিধানসভা বা মহকুমার জনবিন্যাসে পরিবর্তন কতটা বদলে গেছে সেটা যদি জানতে চান তাহলে আজ এবং ২৫ বছর আগেকার ভোটার লিস্টের তুলনা করে দেখুন । তখন বুঝতে পারবেন যে শুধু জেলা নয়, জনবিন্যাসের পরিবর্তন প্রতিটি ওয়ার্ডেও হয়ে গেছে ।
তিনি বলেন,আর ঘাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে এটা নিশ্চিত ভাবে মেনে চলুন । যেখানে যেখানে কম হয়েছে সেখানে সেখানেই কাটা পড়েছেন । আফগানিস্তান পাকিস্তান বাংলাদেশ মালদ্বীপে সংখ্যা কমে গেলে হিন্দুরা কাটা পড়েছিল । কাশ্মীরে হিন্দুরা কমে গিয়েছিল এবং কাটা পড়েছে । ৯ রাজ্যে কমে গেছে তো কেটে গেছে ।
অশ্বিনী উপাধ্যায় বলেন,সমাধান কি ? ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় জিহাদের বিরুদ্ধে একটা নতুন চ্যাপ্টার যোগ করা হোক । কারণ এই সমস্ত জিহাদের ফান্ডিং তো বিদেশ থেকে হয় । মধ্যপ্রাচ্যের দেশ থেকে এগুলো হয় । এফসিআরএ-এর মাধ্যমে এই সমস্ত ফান্ডিং হয়। সেই কারণে এফসিআরএকে বিলুপ্ত করে দেওয়া হোক৷ এই আইন বিলুপ্ত করে অফেন্স রিলেটেড টু মানি লন্ডারিংয়ের একটা নতুন চ্যাপ্টার যোগ করা হোক । যত অনুপ্রবেশ হচ্ছে তার মূল কারণ হচ্ছে দুর্নীতি ।সেই কারণে জাস্টিস বিধি নিয়ম লাগুক করা দরকার । যতক্ষণ না পর্যন্ত আইনের ভয় তৈরি হবে ততদিন এই সমস্ত জিহাদ বন্ধ হবে না ।
তিনি বলেন,আজমেরে ১০০০ এর অধিক মেয়ে ধর্ষিতা হয়েছিল৷ এখন আজমের টু ফাইল চলছে৷ মেয়েদের ধর্ষণ করা হচ্ছে । উত্তরপ্রদেশেও একই ঘটনা চলছে । পশ্চিমবঙ্গ বিহারের কথাটি ছেড়েই দিলাম । উড়িষ্যা এবং ঝাড়খণ্ডের কথা ছেড়ে দিলাম । আমি এই সমস্ত রাজ্যের কথা বলছি যে যেখানে বিজেপি ক্ষমতায় আছে৷ যেখানকার মুখ্যমন্ত্রীরা চান যে এই সমস্ত জিহাদ বন্ধ হোক । বিজেপি যে সমস্ত জায়গায় এই সমস্ত জিহাদগুলোকে ইস্যু করে নির্বাচনে জিতেছে । কিন্তু বন্ধ হচ্ছে না । রোগের চিকিৎসা তখনই সম্ভব যখন ওষুধের বদল হবে । পুরনো আইন বদল করতে হবে৷
লাভ জিহাদীদের ১০০ শতাংশ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়ার দাবি তোলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যয় । পাশাপাশি তিনি দাবি করেন জিহাদীদের, অনুপ্রবেশকারীদের যারা পরিচয় পত্র তৈরি করে দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন আনা হোক । লাভ জিহাদিরাও তার সুযোগ নিয়ে হিন্দু নামে পরিচয় পত্র তৈরি করাচ্ছে । নারকো, পলি ম্যাপিং, ব্রেন ম্যাপিং পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি তোলেন তিনি । ইউনিফর্ম পুলিশ কোড, ইউনিফর্ম এডমিনিস্ট্রেটিভ কোড, ইউনিফর্ম জুডিশিয়াল কোড,ইউনিফর্ম ট্যাক্স কোড, ইউনিফর্ম ইলেকশন কোড, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর আইন, ১০০ শতাংশ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা,নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া,সদ্য বছরে যাবজ্জীবন কারাদন্ড অথবা ফাঁসির সাজার দাবিও তুলেছেন অশ্বিনী উপাধ্যায় ।
তার কথায়, আর যদি না করা হয় তাহলে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ মালদ্বীপ, ভারতের ৯ জেলার মত আমরাও শেষ হয়ে যাবো । নয়তো লালকৃষ্ণ আদবানি,ইন্দ্র কুমার গুজরাল, মনমোহন সিং, যশ চোপড়া ও প্রেম চোপড়া,লালা অমরনাথ, দেব আনন্দের মত আমাদের পলায়ন করতে হবে ।’ তার দাবি, সম্ভ্রান্ত পরিবারের লোকরা ইতিমধ্যে পালাতে শুরু করেছি । কেউ দুবাই পালাচ্ছে । কেউ অস্ট্রেলিয়ার পালাচ্ছে। তারা ভারত ছেড়ে পালাচ্ছে । কারণ কি ? তারা ভেবেছে যে ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ভারতে বসবাস করা অসুরক্ষিত হয়ে যাবে৷ এই কারণে এখন থেকেই তারা বিদেশে গিয়ে বাড়ি এবং দোকান কিনছে ।। আইনজীবীর বক্তব্য শুনুন 👇