এইদিন ওয়েবডেস্ক,লন্ডন,১৬ মার্চ : খুড়তুতো ভাইকে বিয়ে করতে অস্বীকার করায় কাকার হাতে খুন হতে হয়েছিল বছর কুড়ির এক তরুনীকে । গত বছর ২২ জুলাই মাসে ওয়েস্ট ইয়র্কের ব্র্যাডফোর্ডে বাড়ির প্রায় এক মাইল দূরে বায়োমেডিকেল ছাত্রী সোমাইয়া বেগমের মৃতদেহ রবারের ব্যাগ বন্দি অবস্থায় উদ্ধার করেছিল পুলিশ । মৃতদেহের বুকের ডান দিকে গাঁথা ছিল ১১ সেন্টিমিটার লম্বা একটি ধারালো ধাতব পাত । এই ঘটনায় সোমাইয়ার কাকা মোহাম্মদ তারুস খানকে (Mohammad Tarus Khan) বুধবার দোষী সাব্যস্ত করেছে ইংল্যান্ডের ব্র্যাডফোর্ড ক্রাউন আদালত ।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে,সোমাইয়ার বাবা ইয়াসিন খান চেয়েছিলেন তিনি পাকিস্তানে গিয়ে তার খুড়তুতো ভাইকে বিয়ে করুক । তখন সোমাইয়ার বয়স মাত্র ১৬ বছর । কিন্তু বাবার এই প্রস্তাবে রাজি হয়ননি ওই কিশোরী । একারণে পরিবারের রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল তাকে । হত্যার কিছুদিন আগে থেকে সোমাইয়া তার আরেক কাকা দাউদ ও ঠাকুমার সঙ্গে থাকতে শুরু করে । এদিকে সোমাইয়াকে হত্যার ছক কষতে শুরু করে দেয় তার ৫২ বর্ষীয় কাকা মোহাম্মদ তারুস খান । প্রসিকিউটররা বলেছেন যে খান সোমাইয়াকে একটি “মর্মান্তিক” আক্রমণে হত্যা করার আগে গত বছরের ২৫ জুন বাড়ির তিন বেডরুমের চাবি গায়েব করে দিয়েছিল মোহাম্মদ তারুস খান । এরপর সেই চাবির সাহায্যে ২২ জুলাই রাতে তারুস চুপিসারে সোমাইয়ার শোবার ঘরে প্রবেশ করে । মেয়েটি তখন ঘুমে আচ্ছন্ন । ওই অবস্থায় সঙ্গে আনা ধারালো অস্ত্রটি ভাইঝির বাম দিকের বুকে আমূল বসিয়ে দেয় সে । ভাইঝির মৃতদেহ পাচারের জন্য অনলাইনে রবারের ব্যাগ আনায় ঘাতক কাকা । তারপর সেই ব্যাগে তরুনীর দেহটি ভাঁজ করে ঢুকিয়ে বাড়ি থেকে মাইল খানেক দূরে আবর্জনার স্তুপের মধ্যে ফেলে দিয়ে আসে ।
পরে সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্যের ভিত্তিতে মোহাম্মদ তারুস খানকে গ্রেফতার করে পুলিশ । আদালতে দেওয়া পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, সোমাইয়া হত্যার পরিকল্পনা অনেক আগে থেকেই চলছিল । ঘাতক কাকাকে বুধবার দোষী সব্যস্ত করে আদালত । আজ বৃহস্পতিবার তার সাজা ঘোষণা হবে ।।