এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,৩০ জানুয়ারী : বান্ধবীর বাড়িতে গিয়ে সোনার গহনা হাতসাফাই করেছিলেন এক তরুনী । তা থেকে প্রেমিককে একটা সোনার চেন উপহার । স্বামীকে সোনার অলঙ্কার বিক্রি করে দিয়েছিলেন একটা আইফোন । কিন্তু শেষ রক্ষা হল না । স্বামী ও প্রেমিকের সাথে এখন শ্রীঘরে তরুনী । বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের ভৈরবের ঘটনা ৷ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে ধৃতদের আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী।
ধৃতরা হল,ভৈরব পৌর শহরের জগন্নাথপুর আওয়াল কান্দা এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার মেয়ে সুমাইয়া বেগম (১৮), তার স্বামী রুহান মিয়া (২০) এবং পৌর শহরের দক্ষিণপাড়া এলাকার ভাড়াটিয়া রাসেল মিয়ার ছেলে, সুমাইয়ার প্রেমিক ঘোড়াকান্দা এলাকার মৃত আবেদ আলীর ছেলে আক্তার হোসেন (১৯)।
পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সুমাইয়া ২৫ জানুয়ারি বান্ধবী নিধীর বাড়িতে বেড়াতে যায় । সেই সময় নিধীর মাসি বান্টি বেগমের ঘরে ঢুকে সুমাইয়া ৬ ভরি ১১ আনা সোনার অলংকার চুরি করে । পরে সেই অলংকার বিক্রি করে স্বামীকে একটি আইফোন কিনে দেন এবং নিজেও একটি স্মার্টফোন নেন। পাশাপাশি প্রেমিক আক্তার হোসেনকেও চুরি করা অলঙ্কারের মধ্যে একটা সোনার চেন উপহার দেয় ।
এদিকে অলংকার চুরির বিষয়টি বুঝতে পেরে নিধীর মাসি বান্টি বেগম ২৫ জানুয়ারি ভৈরব থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পুলিশ তদন্তে নেমে নিউ টাউন এলাকার বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এবং মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে পৌর শহরের দক্ষিণপাড়া ও ঘোড়াকান্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সুমাইয়া, তাঁর স্বামী রুহান এবং প্রেমিক আক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সুমাইয়া চুরির কথা স্বীকার করে এবং তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ বাকি দুই অভিযুক্তকেও গ্রেপ্তার করে। আক্তার হোসেনের কাছ থেকে ১৪ আনা ওজনের চুরি যাওয়া অলংকার এবং সুমাইয়ার কাছ থেকে কিছু টাকা উদ্ধার করা হয়।
বান্টি বেগম বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে এক সময় ভাড়া থাকতো সুমাইয়া ও তার পরিবার। সেই সুবাদে আমাদের সঙ্গে তাদের ভালো সম্পর্ক ছিল। ২৫ জানুয়ারি আমার বড় বোনের মেয়ে নিধীর বান্ধবী হিসেবে সুমাইয়া আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। সে সময় আমি ও মা ঘরে ছিলাম না। সে সুযোগে আমার ঘরের আলমারি থেকে ৬ ভরি ১১ আনা স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় ।’।