এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৫ ফেব্রুয়ারী : এবারের সরস্বতী পূজো সর্বত্র নির্বিঘ্নে শেষ হয়েছে একথা হলফ করে বলতে পারা যায়না ! কারন নদীয়া জেলার হরিণঘাটা দাসপোল ডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাশীরাম বর্মনকে বদলির হুমকি দিতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি আলিমুদ্দিন মন্ডলকে । সেই বিতর্কের জের মিটিতে না মিটতেই খাস কলকাতার যোগেশ চন্দ্র চৌধুরি ল’কলেজে সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের ছাত্র নেতা সাব্বির আলির বিরুদ্ধে । শুধু তাইই নয়,পুজোয় বাধা দিয়ে ধর্ষণ ও প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে । এছাড়া হুগলী জেলার বলাই বেড়িয়া স্কুলে সরস্বতী পুজো বন্ধ স্থানীয় এক শ্রেণীর জনগোষ্ঠীর আপত্তির কারণে বলে অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর । পাশাপাশি আজ বুধবার তিনি অভিযোগ করেছেন ডায়মন্ডহারবারে দেবী প্রতিমার পোশাক খুলে গোটা শরীরে কামড়েছে অজ্ঞাত দুষ্কৃতীরা । ফলে এরাজ্যে নির্বিঘ্নে সরস্বতী পূজো হয়েছে এটা মনে করছে না বিজেপি ।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গে ‘আতঙ্কের’ সরস্বতী পূজোর পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার । তিনি ভিডিও সহ এক্স-এ লিখেছেন,’পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) নৈরাজ্যবাদী ভয়ভীতির অতল গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছে, যার ফলে হিন্দু উৎসবগুলির শান্তিপূর্ণ উদযাপন বারবার বিপদের মুখে পড়ছে। এর সাম্প্রতিক উদাহরণ হলো রাজ্যজুড়ে সরস্বতী পুজোর সময় সংঘটিত সহিংসতা:
1. নন্দীগ্রামের সীতানন্দ কলেজে সরস্বতী পুজোর আয়োজন তীব্র পুলিশি পাহারার মধ্যে সম্পন্ন হয়, কারণ TMC-পৃষ্ঠপোষিত আক্রমণের আশঙ্কা ছিল সর্বক্ষণ।
2. বহিরাগত TMC নেতা সাব্বির আলির হুমকির পর যোগেশ চন্দ্র ল’ কলেজে পুলিশি নিরাপত্তা ও হাইকোর্টের অনুমতি সাপেক্ষে পুজো অনুষ্ঠিত হয়।
3. নদিয়ার চাপড়ায় দুষ্কৃতীদের দ্বারা ‘বাগদেবী’ প্রতিমার অপবিত্রকরণ হিন্দুদের প্রতি চলমান শত্রুতার জ্বলন্ত প্রমাণ।
4. হুগলির বলাই বেরিয়া স্কুলে TMC-সম্পৃক্ত ইসলামপন্থী গোষ্ঠী সরস্বতী পুজোর আয়োজন নিষিদ্ধ করে। স্কুল কর্তৃপক্ষ পুলিশের নিরাপত্তার জন্য বারবার আবেদন জানালেও প্রশাসন নির্বিকার ছিল।
5. TMC নেতা আলিমুদ্দিন মণ্ডলের হুমকির কারণে, হরিণঘাটা দাস বেরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুলিশ ও RAF-এর পূর্ণ নিরাপত্তার মধ্যে দরজা বন্ধ করে সরস্বতী পুজো সম্পন্ন হয়।’
তিনি আরও লিখেছেন,’এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ যে মমতা ব্যানার্জির তোষণনীতি বাংলাকে সাম্প্রদায়িক বিভেদের আঁতুড়ঘরে পরিণত করেছে, যেখানে হিন্দুদের নিজেদের ধর্মীয় উৎসব পালন করতে হলে আদালতের হস্তক্ষেপ ও পুলিশের সুরক্ষা নিতে বাধ্য হতে হয়। এই ভয়াবহ ঘটনা প্রমাণ করে যে বাংলার ক্রমবর্ধমান ইসলামিকরণ ঘটছে, যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছত্রছায়ায় প্রশ্রয়প্রাপ্ত উগ্রবাদীরা রাজ্যের মৌলিক ঐতিহ্যকে ধ্বংস করছে। এই ঘটনাগুলি বাংলার হিন্দুদের জন্য এক সতর্কবার্তা, যাতে তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটব্যাংক রক্ষার জন্য আশ্রয় দেওয়া এই রাষ্ট্র-পৃষ্ঠপোষিত জিহাদি শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।’।