সঞ্জয় মণ্ডল,মঙ্গলকোট(পূর্ব বর্ধমান),০৭ মার্চ : লোকসভার ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই লাগামছাড়া বক্তব্য দিচ্ছেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মন্ত্রীরা । পয়লা মার্চ পূর্ব বর্ধমান জেলার গুসকরা শহরের বারোয়ারি তলায় দলীয় জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে বিজেপিকে রুখতে “ঝাঁটা-জুতো- লাঠি” হাতে তুলে নেওয়ার নিদান দিয়েছিলেন রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাত । তার আগে ভোটের দিন বিরোধীরা ঘর থেকে বের হলে ‘হাতকেটে’ নেওয়ার ‘গুরুমন্ত্র’ দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা জটিলেশ্বর মন্ডল(Jatileswar Mondal) ওরফে জটিল মণ্ডল । গত মঙ্গলবার মন্তেশ্বরে দলীয় জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় রাজ্যের আর এক মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেছিলেন মুসলিম পরিবারের কেউ ‘লোভে পড়ে’ বিজেপির পতাকা ধরলে তাকে ভালো করে ‘তাবিজ কবজ’ পরিয়ে দেবেন । এবারে লোকসভা ভোটের পর বিজেপি নেতাদের গ্রাম ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দিলেন মঙ্গলকোটের সরগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কেয়া প্রামাণিকের স্বামী বংশধর প্রামানিক । শুধু তাই নয়, তিনি রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে ‘কুলাঙ্গার’ বলে সম্বোধন করেন ।
সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে বংশধরবাবু বলেন, ‘উন্নয়নের সাথে আমরা আছি, উন্নয়নের সাথে জনগণ আছে, সকল মা বোনেরা আছেন, কিন্তু যদি কোন বিজেপির লোক মনে করেন যে উন্নয়নের বাধা হয় দাঁড়াবো, তাহলে ভোটের পরে তাদের উন্নয়ন ভালো করে বুঝিয়ে দেব । তাদের আমরা গ্রামের পাশে করে দেবো ।’
তিনি এখানেই থামেননি রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে ‘কুলাঙ্গার‘ বলেও আক্রমণ করেছেন । মঙ্গলকোটের ওই তৃণমূল নেতার কথায়, ‘প্রধানমন্ত্রীর দলের কুলাঙ্গার রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার । তিনি কি বলেছিলেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন লক্ষ্মীর ভান্ডার চালু করেন তখন তিনি বলেছিলেন যে মা-বোনেদের নাকি রেট বেঁধে দেওয়া হয়েছে । রেট বাঁধার কথার অর্থ কি? এতে পশ্চিমবঙ্গে এসে উনি কি মহিলাদের কাছে সম্মান পাবেন বলে মনে হয়? রাজ্য সভাপতির এটা কি ধরনের মুখের ভাষা ?’ পাশাপাশি যিনি প্রধানমন্ত্রীকে ‘অমানবিক প্রধানমন্ত্রী’ বলেছেন ।
আজ মঙ্গলকোটের সরগ্রাম অঞ্চলের পুইনি গ্রামে দেওয়াল লিখন শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস । দেয়াল লিখনে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পগুলিকে তুলে ধরা হয় । দেওয়াল লিখনে হাত লাগান অঞ্চল সভাপতি দেশবন্ধু পাল ও বংশধর প্রামানিকরা । পাশাপাশি গোটা এলাকাকে কার্যত তৃণমূলের দলীয় পতাকা ও ফেস্টুনে ছেয়ে দেওয়া হয় ।।