আমাদের কোনো চূর্ণী নদী ছিলনা
ছিলনা একখানাও ইছামতী
আর রূপসা…!
আমাদের পাড়ায় একটা সান বাঁধানো মস্ত বড় পুকুর ছিল…
ছিল পাড়ার ছেলে মেয়েদের
জল ঝাঁপানো দুপুর!
সেই পুকুরে আমরা সাঁতার শিখেছি
চিৎ সাঁতার, ডুব সাঁতার…
আমাদের হাত ধরে পাড়ার দাদা দিদিরা
এসব শিখিয়েছে…!
আমাদের পাড়ায় স্টেডিয়াম ছিলনা
ছিল মস্ত একটা বড় মাঠ…
বিকেল হলে তুমুল ভাবে খেলা হতো…
কোনো দিন চু কিৎ কিৎ,
কোনো দিন খো খো,
আর পাড়ার দাদারা ফুটবল, ক্রিকেট!
খেলতে খেলতে পড়ে গেলে, কেটে গেলে,
বড় দাদা দিদিরা মায়ের স্নেহ দিয়ে ভালোবাসায়
জড়িয়ে নিত বুকে!
আর বনজঙ্গল থেকে লতাপাতা হাতে ঘষে
ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দিত!
আমাদের পাড়ায় ছেলেমেয়েদের আলাদা আলাদা
স্কুল ছিলনা,
আমাদের পাড়ায় একটাই স্কুল ছিল
আমরা সকলে একই স্কুলে পড়তাম
একজনের পুরোনো বই আর একজন নিয়ে
পড়ে পাশ করতাম… এক জনের টিফিন আর একজনকে ভাগ করে দিতাম!
আমাদের অনেক কিছু ছিলনা,
কিন্তু এত কিছু ছিল যা ঐ অনেক কিছুতে ছিলনা….
এখন মনে হয় আমাদের অতীত আমাদের
বয়সের থেকে অনেক অনেক বৃদ্ধ হয়ে গেছে…
আমরা বর্তমানে দাঁড়িয়ে অতীতকে শেষ করতে পারিনা…!
শূন্যতো শূন্য নয়
তাই শূন্যে তাকালে একটা ছবি
চোখে উড়ে আসে
মনে হয় …
রবিঠাকুর বলছেন… “শ্রাবণ গগন ঘিরে ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,
শূন্য নদীর তীরে
রহিনু পড়ি…
যাহা ছিল নিয়ে গেলো সোনার তরী”৷।