এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১০ জুলাই : শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদল রাজ্য জুড়ে ব্যাপক ছাপ্পা ভোট মেরেছে বলে অভিযোগ । আজ সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলা মিলে ৬৯৬ টি বুথে পুনঃনির্বাচন করাচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন । এরই মাঝে এক চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন,জাল শংসাপত্র ছাপিয়ে হেরে যাওয়া আসনে তৃণমূল প্রার্থীরা জয়ী হয়ে যেতে পারে । এই বিষয়ে নিজের ফেসবুক পেজে একটা ভিডিওসহ বড়সড় পোস্ট করেছেন তিনি ।
ওই পোস্টে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,’২০২৩ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পঞ্চায়েত “প্রহসন” থুড়ি ‘নির্বাচন’:-
প্রথম ধাপ – মক্কা থেকে মনোনয়ন:
সর্বশক্তি দিয়ে বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা, কিন্তু গিনিস বুকে নাম উঠিয়ে ৮ ঘণ্টায় ৭০ হাজার তোলামুলী মনোনয়ন দাখিল করা।
দ্বিতীয় ধাপ – সাদা থান করো দান:
খুন, অপহরণ, ভাঙচুর, ধমকি দিয়ে বিরোধীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো।
তৃতীয় ধাপ – ভোটের নামে পুকুর চুরি:
এত দিন বাংলার মানুষ ভোটের নামে পুকুর চুরি দেখতে অভ্যস্ত ছিলেন। এবার দেখলেন ছাপ্পা মেরে পুকুর চুরি করার ফল, ব্যালট বাক্স সোজা পুকুরে।
চতুর্থ ধাপ – বাক্স বদল:
গতকাল পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নামে মানুষ খুন, লুঠ, চুরি, ছাপ্পা দেদার চলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অবহেলায় এবং অদক্ষতায়। প্রায় বেশিরভাগ বুথেই লুঠ হয়েছে। বাকি যেকটা বুথে গ্রামবাসীদের প্রতিরোধে ভোট লুঠ ঠেকানো গেছে সেগুলোও জিততে হবে তোলামুলকে। বহরমপুরের বিডিও শ্রী অভিনন্দন ঘোষ, সঙ্গে জয়েন্ট বিডিও এবং অবজারভারের ওপর গুরুতর অভিযোগ আনছেন স্থানীয় লোকজন। আজ ভোর ৩টা থেকে নাকি বহরমপুর; মুর্শিদাবাদের স্ট্রং রুম থেকে ব্যালট বাক্স চুরি হয়েছে লোক লাগিয়ে। সারারাত একটা ‘টিম’ যথারীতি কাজ শেষ করে দিয়েছে। উদ্দেশ্য হল এগুলো নিয়ে গিয়ে তোলামুলীদের রেডি করা ব্যালট বাক্স, গণনার আগে স্ট্রং রুমে রেখে দেওয়া।
এক কথায় “বাক্স বদল”। দলদাস প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মদতে।
এর পরে অন্তিম ধাপ – জাল শংসাপত্র ছাপিয়ে হেরে যাওয়া আসনে জয়ী হয়ে যাওয়া। এই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কারণ তৃণমূল মানেই চোর!! এই চোর তকমা আঞ্চলিক দল তোলামুলের অস্তিত্বের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। এরা সব পারে…।’।