প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৭ সেপ্টেম্বর : সরকারী সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের ইউনিফর্ম নিয়ে দুর্নীতি ও কাটমানির অভিযোগ এনে স্বোচ্চার হয়েছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধীকারি। সেই অভিযোগেই যেন এবার সীলমোহর দিয়ে দিলেন পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বাসিন্দারা। নিম্নমানের ইউনিফর্ম দেবার অভিযোগ এনে বুধবার ভাতারের ঘোলদা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি ইউনিফর্ম ফিরিয়ে দিলেন অভিভাবকরা । অভিভাবকদের এই প্রতিবাদ সঠিক এবং ন্যায়সঙ্গত বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
ভাতারের ঘোলদা প্রাথমিক বিদ্যালয় পড়াশুনা করে ১৩৫ ছাত্র-ছাত্রী। বুধবার দুপুর নাগাদ স্কুলে ছাত্র- ছাত্রীদের সরকারি ইউনিফর্ম দেওয়ার কাজ শুরু হয়।সেই ইউনিফর্ম নিতে এসে অভিভাবকদের চোখ কপালে ওঠে।ইউনিফর্ম অতীব নিম্নমানের বলে অভিযোগ তুলে অভিভাবকরা স্কুলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।ইউনিফর্ম বাড়ি নিয়ে না গিয়ে তারা তা স্কুল কর্তৃপক্ষকে ফিরিয়ে দেন। অভিভাবকরা অভিযোগে বলেন, সরকারী ভাবে যে স্কুল ইউউনিফর্ম দেওয়া হচ্ছে তা অতীব নিম্নমানের । পড়ুয়ারা গরমের সময় ওই ইউনিফর্ম পরলে পড়ুয়াদের শারীরিক সমস্যা হতে পারে।নরম সুতির কাপড়ের পোষাক দেওয়ার দাবি করেছেন অভিভাবকরা।
স্কুল কর্তৃপক্ষের কথায় জানা গিয়েছে,ভাতার ব্লক অফিস থেকে স্কুল ইউনিফর্মের কাপড়গুলি কাটিং হয় । পরে ওই কাপড় এলাকায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের দেওয়া হয়।তারা সেলাই করে ইউনিফর্ম তৈরি করে স্কুলে পৌঁছে দেয়। এদিন স্কুলে উপস্থিত থাকা পড়ুয়ার অভিভাবক নয়ন মণ্ডল ও শেখ শোভানের দাবি,“যে ইউনিফর্ম দেওয়া হয়েছে সেই ইউনিফর্ম পরলে শিশু পড়ুয়ারা অসুস্থ হবে। তাই ওই ইউনিফর্ম গ্রহন না করে আমরা ফেরৎ দিয়ে দিয়েছি। সুতির কাপড় দিয়ে তৈরি সঠিক ইউনিফর্ম দেওয়া হলে তবেই আমরা সেই ইউনিফর্ম গ্রহন করবো। পড়ুয়াডের এমন স্কুল ইউনিফর্ম দেওয়াটা সঠিক কাজ হয়নি বলে অভিভাবকরা মন্তব্য করেন।
যে স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী স্কুল ইউনিফর্ম তৈরির বরাত পায় সেই ’ত্রিনয়ণী গোষ্ঠীর’ সদস্যা সুফিয়া বেগম বলেন
,ইউনিফর্মের কাপড় আমাদের দেওয়া নয়। বিডিও অফিস থেকে আমরা কাপড় পেয়েছি। সেই কাপড় ইউনিফর্ম আকারে সেলাই করার দায়িত্ব আমাদের ছিল।ইউনিফর্মের কাপড়ে মান নিয়ে অভিযোগ ওঠায় বাধ্য হয়ে আমাদের ইউনিফর্ভ ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে“। ভাতারের বিডিও অরুণ কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ হলে তিনি শুধু বলেন,অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে ।।