এইদিন ওয়েবডেস্ক,পূর্ব মেদিনীপুর,২৩ সেপ্টেম্বর : মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার এক পরিবারের সদ্য সম্পূর্ণ হওয়া দু’তলা বাড়ি ভূমিধ্বসে তলিয়ে গেছে । সমস্ত সঞ্চয়ের টাকায় নির্মিত বাড়ি হারিয়ে শোকস্তব্ধ পরিবার এখন খোলা আকাশের নিচে জীবন কাটাচ্ছেন । গত শুক্রবার পাঁশকুড়াতে পরিদর্শনে গিয়ে পাশকুঁড়া পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের জন্দড়ায় ওই বাড়িটি দেখতে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । শুভেন্দু অধিকারীকে কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের মহিলা ও পুরুষ সদস্যরা । মধ্য বয়স্ক গৃহকর্তা গনেশচন্দ্র ভুঁইঞা নামে ওই ব্যক্তির চোখের জল মুছিয়ে তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে শুভেন্দু আশ্বাস দিয়েছিলেন,’আমি আপনার বাড়ি নির্মান করে দিতে হয়ত পারব না,তবে আপনার নতুন বাড়ি নির্মানের জন্য আমার বেতন থেকে আপনাকে ৫ লক্ষ টাকা দেবো ।’ আর এই আশ্বাসের ৪৮ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই স্থানীয় দলীয় নেতার হাত দিয়ে ৫ লক্ষ টাকার চেক পাঠিয়ে দেন শুভেন্দু অধিকারী ।চেক হাতে পেয়ে ফের কান্নায় ভেঙে পড়েন গনেশচন্দ্র ভুঁইঞা ও তার স্ত্রী ।
রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বারবার ডিভিসিকে দায়ি করলেও গনেশচন্দ্রবাবু তার বাড়ি ধসে পড়ার জন্য রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন শুভেন্দু অধিকারীর কাছে । তার অভিযোগ যে বাঁধের ধস আটকাতে সেচ দফতরকে তিনি বারবার জানিয়েছিলেন। সেচ দফতরের ঠিকাদার কয়েকটি বস্তা দিয়ে চলে যায় । বাঁধ মেরামতের কোনো উদ্যোগই নেয়নি রাজ্য সরকার । শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য ছিল,’রাজ্য সরকার ইচ্ছাকৃত ভাবে ওই ব্যক্তির বাড়িকে ধসের কবলে পড়তে দিয়েছে ।’ পাশাপাশি তিনি বন্যা পরিস্থিতির জন্য রাজ্য সরকারের গাফেলতি ও ব্যার্থতাকে দায়ি করেন ।।