এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৯ মে : কয়লা পাচার কাণ্ডে ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লাকে ফের তলব করেছে সিবিআই । মঙ্গলবার রাতেই তার কাছে নোটিস পাঠিয়ে সিবিআইয়ের দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু শেষ দফার ভোটের প্রচারের কারন দেখিয়ে তিনি সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা দিতে অপারগ বলে জানিয়েছেন । বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সিবিআইকে পরামর্শ দিয়েছেন যে শওকত মোল্লা যেখানেই থাকুক তার চুলের মুঠি ধরে বের করে নিয়ে এসে গারদের মধ্যে পুরুক ।
আজ বুধবার যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ভাঙ্গড়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শওকত মোল্লার সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা এড়িয়ে যাওয়ার বিষয় শুভেন্দু বলেন,’একটু আগে সংবাদ মাধ্যমে দেখে এলাম এখানকার সবচেয়ে বড় মাফিয়া,তোলাবাজ, গুন্ডা, খুনি শওকত মোল্লাকে সিবিআই আবার কয়লা কান্ডে নেমন্তন্ন পত্র পাঠিয়েছে । তিনি জানিয়েছেন ভোটের কাজে নাকি ব্যস্ত । আমি সিবিআই এর কাছে আবেদন করব যে আপনারা যাকে বারে বারে তলব করেন সে সিবিআই-এর মত একটা সংস্থাকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে ।’
তিনি বলেন,’সমস্ত চোরাই কয়লা সুন্দরবন এবং উত্তর ২৪ পরগনার ইঁট ভাটাতে শওকত মোল্লা সরবরাহ করেছিল । কয়লা কান্ডে এটা প্রমাণিত । তাই আপনাদের উচিত ও যেখানেই থাকুক, ভাইপোর বাড়িতে বা পিসির বাড়িতে, চুলের মুঠি ধরে কেষ্ট মন্ডলের মত ওকে তুলে নিয়ে গিয়ে গারদের মধ্যে পুরুন । যদি এটা ওরা করতে পারেন তাহলে সিবিআই এর সুনাম বৃদ্ধি পাবে এবং ভাঙ্গড়সহ সমগ্র এই এলাকায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাবে এবং সাধারণ মানুষ সিবিআই এর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে । বিরোধী দলনেতা হিসেবে আমি এটা আশা করি ।’
প্রসঙ্গত, যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডঃ অনির্বান গাঙ্গুলির সমর্থনে আজ ভাঙ্গড়ে নির্বাচনী জনসভা করার কথা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর । কিন্তু আজ সকালে স্থানীয় থানা থেকে বিজেপি প্রার্থীর কাছে একটি নোটিশ পাঠিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় যে সভা বাতিল করা হলো ৷ এদিকে সবার সমস্ত প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল । শেষ মুহূর্তে পুলিশ সভাটি বাতিল করে দেওয়ায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বিজেপির কার্যকর্তাদের মধ্যে । মূলত এই বিষয় নিয়েই সভাস্থলে সাংবাদিক সম্মেলন করেন শুভেন্দু অধিকারী । তিনি বলেন,’পুলিশ ওই নোটিশে বলেছে যে তৃণমূলের নাকি ১০০ মিটার দূরে সভা হচ্ছে । আমি তো ওই দিক থেকেই এলাম, তৃণমূলের সভার কোন নাম গন্ধ নেই । আমরা বেশ কিছুদিন ধরে যেকথা বলছি, তৃণমূল মাঠে নেই পুলিশ ভার্সেস বিজেপি লড়াই হচ্ছে,সেটাই আজ সত্যি প্রমানিত হল ।’
রাজ্য পুলিশকে ‘চিটিংবাজ’ ও ‘মিথ্যাবাদী’ বলে আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী । তিনি বলেন, ‘পুলিশ যেন কয়লা ভাইপোর চুরির টাকা থেকে বেতন পায়, আমাদের ট্যাক্সের টাকায় ওদের বেতন হয় না । তৃণমূলকে বাঁচানো এবং ভোটে জেতানোর জন্য পুলিশের যেন বাপ-মা মরা দায় পড়েছে । মমতা ব্যানার্জির পুলিশ কত বড় চিটিংবাজ আর মিথ্যাবাদী এই ঘটনাই প্রমাণ ।’ পাশাপাশি ভোটারদের কাছে কিরে আহ্বান জানান, আমি সপ্তম দফার ভোটারদের জানাতে চাই এখানে গণতন্ত্র বিপন্ন । শেষ দফার ভোটাররা ইভিএমে এর বদলা নিন ।’।