এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,৩০ ডিসেম্বর : রবিবার সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর সাথে কথা বলার সময় রাজ্য পুলিশের ডিজিপি রাজীব কুমার মন্তব্য করেন, ‘পশ্চিমবঙ্গবাসীকে আমরা আশ্বস্ত করতে চাই যে রাজ্য পুলিশ খুবই পেশাদার পুলিশ । আগেও আমরা দেখেছি বাম বা ডানপন্থী চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে আমরা খুবই ভালোভাবে মোকাবেলা করেছি । এবারও করব । আমরা বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের প্রতি নজর রেখেছি । পাসপোর্ট প্রক্রিয়ার মধ্যে কি কি খামতি আছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি ।’ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ নিয়ে সাংবাদিক প্রশ্ন করলে কিঞ্চিৎ উত্তেজিত হয়ে রাজীব কুমার বলেন,’বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ নিয়ে বিএসএফ কে জিজ্ঞেস করুন না । এটা ওদের দেখার কাজ । অনুপ্রবেশ সত্ত্বেও আমরা এই সমস্ত কাজ করছি।’ এদিকে ডিজিপির এহেন মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী । তিনি ‘ডান চরমপন্থী’ সংগঠনের নাম জানতে চেয়েছেন রাজীব কুমারের কাছ থেকে । পাশাপাশি ডিজিপির বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী হিন্দু সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ তুলে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশের জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ী করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
রাজিব কুমারের মন্তব্যের ভিডিও ক্লিপিং এক্স-এ শেয়ার করে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘ডব্লিউবি পুলিশ রাজীব কুমার মহাশয়,আপনি বলেছেন যে আপনার “দক্ষ” পুলিশ বাহিনী “ডানপন্থী চরমপন্থার” বিরুদ্ধে লড়াই করছে। পশ্চিমবঙ্গে তথাকথিত “ডানপন্থী চরমপন্থা” এর সাথে জড়িত সংগঠনগুলোর নাম বলার সাহস করুন । সহিংসতার যে কোনো কথিত ঘটনা এবং দায়ী ব্যক্তিদের নাম সম্পর্কে বিশদ বিবরণ দিন, যাদের আপনি এখনও পর্যন্ত ধরেছেন। আপনি মনে হচ্ছে জাতীয়তাবাদী সনাতনী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন ঠিক যেমন বাংলাদেশের সীমান্তের ওপারে আপনার প্রতিপক্ষরা সেখানে সনাতনী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে। তিনি অভিযোগ করেছেন,আপনার পুলিশ বিভাগ অনুপ্রবেশকারীদের সনাক্ত করতে এবং ধরতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে এবং এমনকি তাদের যাচাইকরণের প্রক্রিয়াটি চালিয়ে ভারতীয় পাসপোর্ট এবং অন্যান্য নথি পেতে সহায়তা করেছে।’
বিএসএফের দিকে আঙুল তোলা রাজীব কুমারের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘দ্বিতীয়ত, এটা আশ্চর্যজনক যে, আপনি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আইপিএস অফিসার; ‘সুপার কপ’,যিনি একজন আমলা (প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি) হিসাবে দ্বিগুণ ক্ষমতাশালী হয়ে উঠেছেন এবং মুখ্যমন্ত্রীর পরে সবচেয়ে শক্তিশালী পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন, জানেন না যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিএসএফকে সীমান্ত বেড়া দেওয়ার জন্য জমি প্রদান করতে পারেনি।আন্তঃসীমান্ত অনুপ্রবেশের প্রাথমিক কারণ শত শত কিলোমিটার খোলা সীমান্ত। তাই বিএসএফকে দোষারোপ করা আপনার কাজে আসবে না।’
বিরোধী দলনেতা বলেছেন,’আগামীকাল, আমি একটি প্রেস কনফারেন্স করব, যেখানে আমি সীমান্ত বেড়া সংক্রান্ত সমস্যা এবং পুলিশ ও বিএসএফ-এর মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে সমন্বয়হীনতার বিষয়ে তথ্য শেয়ার করব। আপনি যদি বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত হতে আগ্রহী হন তবে আপনার ভাল অফিসকে আগামীকাল প্রেস কনফারেন্স শুনতে বলুন।’।