এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৯ জুন : কসবা ল’কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল গোটা রাজ্য । ধর্ষকদের মধ্যে অন্যতম মনোজিৎ মিশ্র (৩১) টিএমসিপি ইউনিটের প্রাক্তন সভাপতি হওয়ায় এবং তৃণমূলের তাবড় শীর্ষ নেতাদের সাথে তার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় বিপাকে পড়ে গেছে এরাজ্যের শাসকদল । এখন এই পরিস্থিতিতে উত্তরণের উপায় খুঁজতে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে ধর্ষণের পরিসংখ্যান খুঁজতে শুরু করেছে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষরা । এদিকে আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের মামলার মতই ল’কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনাতেও কলকাতা পুলিশের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েও বারবার প্রশ্ন তোলা হচ্ছে । জাতীয় মহিলা কমিশনকে ক্রাইম স্পটে ছবি বা ভিডিওগ্রাফি করতে না দেওয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠল । যদিও পুলিশের সাফাই ঘটনাস্থলে সিল থাকার কারণে ছবি তুলতে দেওয়া হয়নি কমিশনকে । এনিয়ে কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার ও পুলিশের মধ্যে কলেজের গেটের সামনে বাকবিতন্ডাও হয় ।
আজ রবিবার প্রথমে কসবা থানায় যায় জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা । সেখান থেকে তারা কসবা ল’কলেজে আসেন । কসবা ল’কলেজে জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা পৌঁছানোর পর, পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে গেটের সামনে ক্রাইম স্পটের ছবি তোলা ও ভিডিওগ্রাফি করা নিয়ে কথাবার্তা বলতে দেখা যায় অর্চনা মজুমদারকে। কিন্তু পুলিশ ক্রাইম স্পটের ছবি তুলতে দিতে কোনমতেই রাজি হয়নি । শেষ পর্যন্ত ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখার কথা জানায় কমিশন । তাঁরা জানিয়েছেন, নিয়ম মেনে ঘটনা স্থলে ভিডিওগ্রাফি তারা করতে চান। কিন্তু ছবি তুলতে বা ভিডিওগ্রাফি করতে না পেরে ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে আসেন কমিশনের সদস্যরা । এরপর কলেজের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে পুলিশের সঙ্গে চলে বাকবিতন্ডা।
অন্যদিকে পুলিশের কথায়, ঘটনাস্থলে সিল থাকার কারণে সেখানে কোন রকম ছবি তুলতে দেওয়া যাবে না। জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফ থেকে বলা হয়, নিয়ম মেনেই তাঁরা কাজ করবেন। সিল জায়গায় না ঢুকে ভিতর থেকেই ভিডিয়ায়োগ্রাফি করা হবে । পরে কলেজের সামনে গাড়িতে বসে বিভিন্ন উচ্চপদস্থ আধিকারিককে ফোন করতে দেখা যায় জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদারকে ।।