দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),০৬ নভেম্বর : পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার বড়বেলুন গ্রামের ৬০০ বছরের প্রাচীন ‘বড়মা’র বিসর্জনে কঠোর নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করেছিল পুলিশ । প্রায় ২১ ফুট উচ্চতার এই কালীপ্রতিমার বিসর্জন ঘিরে প্রতিবছরেই লক্ষাধিক পূন্যার্থীর সমাগম । তাই শনিবার বিকেলে ‘বড়মা’র বিসর্জনে মোতায়েন করা হয় প্রচুর মহিলা ও পুরুষ পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলেন্টিয়ার্স । পাশাপাশি গোটা এলাকায় ড্রোন ক্যামেরায় নজরদারি চালানো হয় । একাধিক জায়গায় লাগানো হয় সিসিটিভি ক্যামেরা । করোনার প্রাদুর্ভাব অনেকটাই কম হওয়ায় প্রত্যাশা মতই এবারে ‘বড়মা’র নিরঞ্জনে কয়েক হাজার পূন্যার্থী বড়বেলুন গ্রামে ভিড় জমান ।
শোনা যায়,বড়বেলুন গ্রামে এই কালীপূজোর সূচনা করেছিলেন ভৃগুরাম নামে এক সাধক । তিনি কেতুগ্রামের বহুলাপীঠে সাধনা করতেন । তখন বড়বেলুন এলাকা ছিল জনমানবহীন ও জঙ্গলেপূর্ণ । দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে তিনি বড়বেলুন বৃহদাকার এই কালীমূর্তি গড়ে সাধনা করতে শুরু করেন । বার্ধ্যক্যবস্থায় দেবীর নির্দেশে তিনি বিয়েও করেন । সাধক ভৃগুরামের অবর্তমানে গ্রামের ভট্টাচার্য্য পরিবার বংশানুক্রমিকভাবে বড়মার পূজো পরিচালনা করে আসছে ।
প্রাচীন রীতি মেনে আজও ১৪ হাতের কালীপ্রতিমা নির্মান করা হয় । পূজোয় মানা হয় প্রাচীন প্রথা । বাৎসরিক পূজোয় দূরদূরান্ত থেকে প্রচুর পূন্যার্থী বড়মার পূজো দিতে আসেন। বিশাল আকৃতির এই প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয় গ্রামের দিঘিতে । প্রতিমাকে নিয়ে যাওয়ার মন্দির থেকে দিঘির ঘাট পর্যন্ত পাতা হয় রেললাইন । তারপর দেবীকে রথে চাপিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় । এই দৃশ্য দেখতে লক্ষাধিক পূন্যার্থীর সমাগম হয় বড়বেলুন গ্রামে ।।