দরবারী রাগের সানাইয়ের মূর্ছনায় মুখরিত হয়ে আছে আজ চারদিক। আলোয় সজ্জিত পরিচিত লনটা আজ যেন স্বর্গীয় রূপ পেয়েছে। মোলায়েম ঘাস কার্পেট দিয়ে ঢাকা লনের একধারে পাথরের এক মোহময়ী নারীর মূর্তির করতল থেকে ধেয়ে আসছে জলের ধারা। এক ছোট জলাশয়ে এসে সেই ঝর্ণাধারা প্লাবিত হচ্ছে। যান্ত্রিক হলেও এই পদ্ধতি যেন এক নৈসর্গিক সৌন্দর্য নিয়ে এসেছে।
তিয়াসা ধীর পায়ে ভিতর থেকে বেরিয়ে এসে দেখল হিমাংশু মোবাইলে কারও সঙ্গে কথা বলছে। হয়ত ঋত্বিকা ফোন করেছে, তাই ওদিকে না গিয়ে ঝর্ণার দিকে এগিয়ে গেল। মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইল কিছুক্ষণ। এত সুন্দর করে সাজানোর জন্য শিল্পীদের সঙ্গে সঙ্গে হিমাংশুকেও মনে মনে ধন্যবাদ জানাল।
তার অন্ধকার জীবনে এইটুকু খুশিও যে আজ উপরি পাওনা তিয়াসার কাছে!
— wow! টিয়া!!
হিমাংশুর কণ্ঠস্বর শুনে পিছন ঘুরে তাকাতেই দেখল, একদৃষ্টিতে সে তার দিকে তাকিয়ে আছে। সে চোখের চাওনিতে ছিল এক মুগ্ধতা।
হিমাংশুর কথায় গুরুত্ব না দিয়ে তিয়াসা বলল,
— কোথায়, এখনও তো কেউ এল না! কাদের ডেকেছ তুমি?
— আরে আসবে, সবে তো সন্ধ্যে হ’ল!
পিছন থেকে কেউ একজন এসে দুহাতে তিয়াসার দু’চোখ চেপে ধরল। হঠাৎ এমন ব্যাপারে অপ্রস্তুত হয়ে তিয়াসা বিস্মিত কণ্ঠে বলল,
— কে?
হিমাংশু হো হো করে হেসে উঠল।
— অংশু না হেসে বলবে কে আমার চোখ বন্ধ করেছে!
তিয়াসার কণ্ঠে বিরক্তি।
— আরে আমি বলব কেন, তুমিই বল এই দুটো হাত কার হতে পারে!
— প্লিজ তুমিই বল, আমি কী করে জানব ?
আকুতি মাখানো সুরে তিয়াসা বলে উঠল।
চোখ দু’টো ঠিক তক্ষুনি ছেড়ে সহাস্যমুখে তিয়াসার সামনেএসে দাঁড়াল সে ব্যক্তি।
— আরে, বাবান তুই!!!!
দু ‘চোখ বিস্ফারিত করে তিয়াসা বলে উঠল।
ছেলে নীলাদ্রিকে এই মুহূর্তে এখানে দেখে বিস্ময়ের সঙ্গে সঙ্গে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পরম মমতায় জড়িয়ে ধরল তাকে।
— তুই আসবি বলিসনি তো!
ছেলেকে বাহুবন্ধন থেকে মুক্ত করে তিয়াসা বলল।
— আমার কী দোষ? বাপি বলতে বারণ করল তো!
— অংশু!
চোখ দুটো বড় বড় করে রাগান্বিত স্বরে তিয়াসা বলে উঠল।
হিমাংশু হো হো করে হেসে উঠল।
— মা, এদিকে তাকিয়ে দেখ, সঙ্গে কাকে এনেছি!
এক সুন্দরী যুবতী হেসে এগিয়ে তিয়াসার পা ছুঁতে যেতেই ওকে দু ‘হাতে তুলে ধরল তিয়াসা। ভ্রু কুঁচকে বলল,
— এইই তবে সমৃদ্ধি?
মেয়েটি হেসে বলল,
— হ্যাঁ আন্টি! আমিই সমৃদ্ধি।
— ওরে বাবা, তোরা সবাই মিলে আমাকে আজ যা চমক দিয়েছিস! তবে তোদের কাছে পেয়ে খুব ভালো লাগছে আমার। ছেলে নীলাদ্রি আর সমৃদ্ধিকে দু’পাশে জড়িয়ে ধরল তিয়াসা।
তারপর আবার বলল,
— তোদের লাগেজ কোথায়?
— আমরা তো দু’দিন আগেই এসেছি। হোটেলে রেখে এসেছি।
সমৃদ্ধি হেসে বলল।
— এসব কী শুনছি বাবু? তুই বাড়িতে না উঠে ওকে নিয়ে হোটেলে উঠেছিস?
নীলাদ্রি হেসে বলল,
— কী করব মা, আমাদের হাত-পা বাঁধা ছিল যে। বাপির ইচ্ছের বিরুদ্ধে কখনও কি কিছু করেছি?
— ও, তাহলে আমি কেউ নই!
ছেলের কথা শুনে তিয়াসার চোখ দুটো ছলছল হয়ে উঠল অভিমানে।
— মা !! সেটা আবার কখন বললাম! তুমি তো আমার মা!
তিয়াসাকে হাল্কা ঝাঁকিয়ে নীলাদ্রি বলল।
ইতিমধ্যে হিমাংশু কোথায় যেন উধাও হয়ে গেল। তাকে দেখতে না পেয়ে তিয়াসা এদিক ওদিক চোখ ঘুরিয়ে দেখে নিয়ে বলে উঠল,
— আচ্ছা, তোর বাপি কোথায় গেল রে? দেখতে পাচ্ছি না তো!
— ওই তো আসছে।
ডান হাত তুলে গেটের দিকে দেখিয়ে বলল নীলাদ্রি।
হিমাংশুর সঙ্গে একদল অতিথিকে আসতে দেখে সেদিকে তাকাল তিয়াসা। অতিথিরা আসা শুরু করেছে তাহলে। নীলাদ্রির উদ্দেশ্যে বলল,
— তোমরা দু’জনে সকল অতিথিদের দিকে একটু লক্ষ রেখ। সবাইকে সুন্দরভাবে আপ্যায়ন করবে কেমন?
— চিন্তা করো না মা। আমরা আছি তো।
হিমাংশু সদলে এসে তিয়াসার সামনে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে বলল ,
— টিয়া, এই দেখ সবাই এসে গেছে। এদের সবাইকে ভালো করে দেখ তো, সবাইকে চিনতে পারছ কিনা!
এক সুন্দরী মহিলা আধুনিক পোশাকে হাসিমুখে এগিয়ে এল সঙ্গে একজন সুপুরুষ। তিয়াসার দিকে ডানহাত বাড়িয়ে রূপবতী বলল,
— Happy marriage anniversary Mrs. Himangshu!
— thank you!
— আমি ঋত্বিকা, হিমাংশুর chaildhood friend.
করমর্দন করতে করতে হাসিমুখে বলল আগন্তুক সুন্দরী।
হঠাৎ সুপ্ত রাগের বিদ্যুৎ খেলে গেল তিয়াসার মাথায়। মনে মনে বলল, ওদের এইটুকু সময়ও কেড়ে নেবে এই মহিলা। কতটা অসভ্য হলে মানুষ এমন হয়। একরাশ বিরক্তি এসে তিয়াসার মনের সকল আনন্দকে ম্লান করে দিল এক মুহূর্তে। তিয়াসাকে চুপ করে থাকতে দেখে ধরে থাকা হাতটা ঝাঁকিয়ে ঋত্বিকা আবার বলল,
— তিয়াসা! কী হলো?
— oh, thank you so much!
হিমাংশু তিয়াসার উদ্দেশ্যে বলে উঠল,
— তিয়াসা, ওনার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি তোমাকে। এই যিনি ঋত্বিকার পাশে সহাস্যে সভা আলো করে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি হলেন প্রসিদ্ধ অ্যাডভোকেট সজীব মজুমদার।
— নমস্কার
হাতজোড় করে তিয়াসা আগন্তুকের উদ্দেশ্যে বলল।
ঋত্বিকা সঙ্গে সঙ্গে সজীবের বাঁ হাত নিজের ডান হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে হাসিমুখে বলল,
— ইনি আমার only one husband. আমার হৃদয়!
সজীব আর ঋত্বিকা দু’জনে পরস্পরের দিকে তাকিয়ে হাসি বিনিময় করল।
ঋত্বিকার কথায় কিছুটা অবাক হ’ল তিয়াসা। ঋত্বিকা বিবাহিতা, সেকথা অজানা ছিল তার। অবশ্য সে কথা নিয়ে কখনও কথা বলেনি হিমাংশুর সঙ্গে। হতেই পারে বিবাহিতা। আজকাল তো পরকীয়া একটা ফ্যাশন হয়ে গেছে। ভাবতে গিয়ে অধিক ঘৃণায় মুখটা বাঁকিয়ে হাসল তিয়াসা। তারপর বলল,
— খুব ভালো হয়েছে আপনারা এসেছেন। আসুন, এদিকে এসে বসুন।
ওদের নিয়ে এগিয়ে গেল তিয়াসা।
— তিয়াসা.. তিয়াসা..
দ্বৈত কণ্ঠে নিজের নাম অচেনা কন্ঠে শুনে তিয়াসা বিস্মিত হয়ে ঘুরে পিছন ফিরে দেখে।
একজোড়া নারী – পুরুষ হাসিমুখে এগিয়ে তিয়াসার সামনে এসে দাঁড়াল।
তিয়াসা হাসিমুখে ওদের স্বাগত জানায়।
— আসুন।
ততক্ষণে ওদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে হিমাংশুও। তারপর মৃদু হেসে বলল,
— এদের চিনতে পারছ টিয়া?
চেনার চেষ্টা করেও বিফল হয়ে লজ্জিত স্বরে তিতাসা বলল,
— সরি, চেনা চেনা মনে হচ্ছে কিন্তু ঠিক মনে করতে পারছি না। প্লিজ একটু মনে করিয়ে দাও!
আগন্তুক মহিলাটির দিকে চেয়ে রইল কিছুক্ষণ ।ভাবতে লাগল কোথায় যেন দেখেছে ওকে ; নিজের সমবয়সী বলেও মনে হ’ল কিন্তু কিছুতেই মনে করতে পারল না তিয়াসা।
— আরে আমাদের চিনতে পারলি না! আমি মিতালী, রে… আর এই যে ইনি শৈবাল… আমার হাসব্যান্ড!
পাশে দাঁড়িয়ে থেকে তিয়াসার বিস্মিত মুখটার দিকে চেয়ে শৈবাল মৃদু হেসে বলল,
— কী হ’ল চিনতে পারলি এবার? তুই বিয়ে করার পর একজনকে কাছে পেয়ে আর হাতছাড়া করতে পারিনি। মিতালীরও ইচ্ছে ছিল, তাই বিয়েটা করেই ফেলেছিলাম।
এদের কথা শোনামাত্র আবার অতীতের স্কুলের প্রাঙ্গণে ফিরে গেল তিয়াসা। মনটা অজান্তেই খুশিতে নেচে উঠল। এত বছর পর প্রিয় বন্ধুদের এইভাবে অকস্মাৎ কাছে পেয়ে তিয়াসার দু ‘চোখ আনন্দে ভ’রে উঠল। উৎফুল্লিত কণ্ঠে বলে উঠল,
— তোরা এইভাবে আমাকে সারপ্রাইজ দিবি, আমি কোনদিন ভাবিনি রে! এখানে আসার পর কারোর সঙ্গেই যোগাযোগ রাখিনি আমি। তোরা কী করে আমার খোঁজ পেলি ?
— সব তো হিমাংশু স্যারের জন্যই হ’ল। উনি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই ঠিকানায় আজ আসতে বললেন।
হিমাংশুর দিকে কৃতজ্ঞতার দৃষ্টিতে তাকিয়ে তিয়াসা বলে উঠল,
—- অংশু, thanks a lot! আজকের এই উপহারে আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকব তোমার কাছে।
আবেগে দুই বন্ধুকে জড়িয়ে ধরে বলল,
— তোরা আর হারিয়ে যাস না। আমাদের বন্ধুত্ব যেন আবার আগের মত হয়, কেউ কাউকে ছাড়ব না আর।
— একদম!
মিতালী – শৈবাল একসঙ্গে বলে উঠল।
— আমি একটু ওদিক থেকে আসছি।
এই বলে হিমাংশু সামনের দিকে এগিয়ে গেল।
–শুভ সন্ধ্যা সবাইকে। আজ এক বিশেষ দিনকে আরও বিশেষতর করবার বাসনায় আমি আজ সবাইকে আমন্ত্রণ করেছি।
স্পিকারে ভেসে এল হিমাংশুর ভরাট কণ্ঠস্বর।
বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে পায়ে পায়ে হিমাংশুর দিকে এগিয়ে গেল তিয়াসা।
— আজ আমার একমাত্র ছেলে নীলাদ্রির সঙ্গে এডভোকেট সজীব মজুমদার এবং ঋত্বিকা মজুমদারের একমাত্র কন্যা সমৃদ্ধির এনগেজমেন্টের দিন। প্লিজ সবাই আশীর্বাদ করুন যেন এদের বিবাহ জীবনটা ফুলেল সৌরভে সুরভিত হয়।
চলতে চলতে থেমে গেল তিয়াসা। আজ এসব কী হচ্ছে ওর সঙ্গে! একের পর এক চমক দিয়ে যাচ্ছে হিমাংশু!
— তিয়াসা .. এদিকে এসো।
নীলাদ্রি – সমৃদ্ধিসহ মজুমদার দম্পতিও হিমাংশুর পাশে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছে। চারিদিকে করতালি ধ্বনিত হতে লাগল।
তিয়াসা ধীর পায়ে এগিয়ে গেল। দু’চোখ ছলছল করে উঠল। অভিমান আবার খুশিতে মনটা উদ্বেল হয়ে উঠেছে তার। অসংখ্য বোবা প্রশ্নমালা যেন চোখের জলে ফুটে উঠল ; অবাক দৃষ্টিতে হিমাংশুর দিকে চেয়ে রইল তিয়াসা। মুখের সকল শব্দ যেন নির্বাসনে গেছে, কোন কথাই মুখ থেকে বেরোল না তার। শুধু বিস্ময়ের চিহ্ন ফুটে উঠল তার মুখাবয়বে।
— খুব চমকে দিলাম তো?
হিমাংশু তিয়াসার হাত দু’টো ধরে সহাস্যমুখে বলল।
— বাপি, আগে তোমাদের রেজিস্ট্রিটা হবে, তারপর আমাদের এনগেজমেন্ট।
ছেলের কথা শুনে ফ্যালফ্যাল করে তার দিকে তাকিয়ে রইল তিয়াসা।
— হ্যাঁ, নীলাদ্রি ঠিক বলেছে। এদিকে আসুন আপনারা দু’জনে, এখানে সই করে দিন।
একটা রেজিস্টার খুলে সজীব মজুমদার হাসিমুখে বললেন।
ঋত্বিকা এগিয়ে এসে তিয়াসার হাত ধরে টেনে বলে,
— আর দেরি কিসের? দু ‘ বছর দু’জনে অনেক মজা করে কাটিয়েছেন, আর নয়। এবার পাকাপাকি বন্ধন হোক। সঙ্গে আমরা সাক্ষী রইলাম। আসুন আমরা সবাই মিলে একইসঙ্গে একটা সুন্দর পরিবার গড়ি, কী বলেন বেয়ান?
এই বলে হাসিমুখে তিয়াসাকে টেনে আনল ঋত্বিকা।
— wait please! আমি আগে হিমাংশুর সঙ্গে একান্তে একটু কথা বলতে চাই।
নিজের হাতটা ছাড়িয়ে ধীর স্বরে তিয়াসা ঋত্বিকাকে বলল।
— okay, ঠিক আছে , আমরা অপেক্ষা করছি।
হিমাংশু আর তিয়াসা একসঙ্গে লনের এক কোণায় আসে।
— অংশু, এসব কী হচ্ছে ?
— তুমি না চাইলে হবে না।
— চাইব কেন! ঋত্বিকা আর তুমি… জেনেশুনে আবারও আমি ভুল করব?
— তুমি সেদিনও ভুল করেছিলে, আজও করছ টিয়া। ঋত্বিকা শুধুমাত্র আমার ভালো বন্ধু।
— তাহলে আগে বললে না কেন?
— বললে তুমি বুঝতে চাইতে না তখন।
— তাই বলে ডিভোর্স দেবে?
— তুমি চেয়েছিলে, আমি কিন্তু কখনও তোমার থেকে দূরে সরে যাইনি, সেটা তুমিও জান।
তাছাড়া, একা থেকে যদি ভালো থাক,তাহলে দোষের কী? এই ভেবেই ডিভোর্স দিয়েছিলাম সেদিন।
— তাহলে আজ?
— আজ আমাদের একসঙ্গে থাকার সময় হয়েছে, ছেলে – মেয়ে দু’টোকে শেখাতে হবে না?
কথাগুলো বলেই হিমাংশু মিটিমিটি চোখে হেসে উঠল।
— তুমি তাহলে ঋত্বিকা র সঙ্গে কোন সম্পর্কে ছিলে না?
— না, কখনও না। আমি অন্য ফ্ল্যাটে থাকি। ওরা থাকে অনেক দূরে। বাবু ওরা সবই জানে। ভিডিও কলে প্রতিদিন কথা বলতাম তো। জিজ্ঞেস কর ওদের!
— তুমি এত পাষাণ কী করে হয়ে থাকলে?
— তুমি নও?
— সরি,তবে দোষটা আমার থেকে বেশি তোমার ছিল। তুমি বোঝাতে পারনি আমাকে।
— চাইলে হয়ত পারতাম। তবে তোমার ইচ্ছেকে সম্মান জানিয়েছিলাম টিয়া।
— বুঝলাম। ছেলে – মেয়েরা কী ভাবল বলত? তাছাড়া ঋত্বিকাই বা কী ভাববে আমাকে?
— সবাই সব জানে। আমি সারপ্রাইজটা সময়মত দেব বলেই এতদিন অপেক্ষা করেছি।
এবার চল..
- চল..
মনের সব গ্লানি নিমেষেই যেন উধাও হয়ে এক সুরেলা সুর বেজে উঠল দু’টো মনের প্রান্তরে…
দু’জনে হাত ধরে এগিয়ে গেল সঙ্গে চলার প্রতিশ্রুতিতে। - —— সমাপ্ত —-