এইদিন ওয়েবডেস্ক,বিহার,০৭ ডিসেম্বর : বিহারের দারভাঙ্গা জেলায় রাম বিবাহ পঞ্চমী উপলক্ষে মূকনাটকে কট্টরপন্থী মুসলমানরা বিনা প্ররোচনায় পাথরবাজি করেছে। মূকনাটকটি একটি মসজিদের কাছে পৌঁছানোর সাথে সাথে লোকজনের উপর ইট-পাথর ছুড়তে শুরু করে। এতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বহু মানুষ। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এলাকায় ভারী পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাম বিবাহ পঞ্চমী উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও দারভাঙ্গা জেলার নগর থানার বাজিতপুর ও তারাউনি গ্রামে ভগবান রামের বিবাহের মূকনাট্য শোভাযাত্রা করা হয়েছিল। তারাউনি গ্রাম থেকে বাজিতপুরের দিকে যাচ্ছিল মূকনাট্য শোভাযাত্রাটি । বাজিতপুর যাওয়ার সময় শোভাযাত্রাটি একটি মসজিদের কাছে পৌঁছালে মৌলবাদী মুসলমানরা এতে আপত্তি জানায় এবং মূকনাটকে অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিদের সাথে তর্ক শুরু করে।কিছুক্ষণের মধ্যে মসজিদ ও আশপাশের মুসলিমদের বাড়ির ছাফ থেকে পাথর ছোড়া শুরু হয়। কয়েকজন দাঙ্গাবাজ লাঠি-রড নিয়ে এসে মূকনাটকে অংশগ্রহণকারী লোকজনের ওপর হামলা চালায়। ঘটনার খবর পেয়ে সদর এসডিও, সিটি এসপি, ডিএসপি প্রমুখ আধিকারিকরা ভারী পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেন।
উল্লেখ্য,তারাউনি বিখ্যাত কবি নাগার্জুনের গ্রাম।বলা হয় যে দারভাঙ্গার বাজিতপুরের হল সেই জায়গা যেখানে রাম বিবাহ পঞ্চমীর শোভাযাত্রা নতুন কোনো পরম্পরা নয় । স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, বিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই পথ দিয়েই রাম বিবাহ পঞ্চমী উপলক্ষে মূকনাটকের শোভাযাত্রা বের হয়। কিন্তু এমন বিশৃঙ্খলা আগে কখনো হয়নি। এবার মিছিলটি মসজিদে পৌঁছা মাত্রই পাথর ছোড়া হয়।
দারভাঙ্গা এসডিএম বিকাশ কুমার জনগণকে গুজবে কান না দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। তিনি বলেন,যে স্থানে ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে দুটি নির্মাণাধীন ঘর রয়েছে এবং সেখানে ইট-পাথর রাখা ছিল, যা পাথর নিক্ষেপের সময় ব্যবহার করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে এফআইআর নথিভুক্ত করা হচ্ছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এদিকে ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং পুলিশ ক্রমাগত ফ্ল্যাগমার্চ করছে।।

