এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাঁকুড়া,০৫ ডিসেম্বর : বাঁকুড়া পুরসভার সরবরাহ করা পানীয় জলের পাইপ থেকে বের হচ্ছে দূর্গন্ধ যুক্ত জল,সর্পিলাকৃতি জ্যান্ত ও মৃত মাছ,কেঁচো ! পানীয় জলে বিকল্প ব্যাবস্থা না থাকায় ওই দূষিত জল পান করতে বাধ্য হচ্ছেন বাঁকুড়া পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কবরডাঙ্গা বস্তির বাসিন্দারা । স্থানীয়দের অভিযোগ এনিয়ে বারবার পুরসভাকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি । স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা দূষিত পানীয় জল পান করে গন হারে পেটের সমস্যা জনিত রোগ ও চর্মরোগের শিকার হবেন । এনিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কবরডাঙ্গা বস্তির বাসিন্দারা ।
জানা গেছে,বাঁকুড়ার মীনাপুর এলাকায় দারকেশ্বর নদের পাশেই রয়েছে পুরসভার নিজস্ব পাম্প হাউস । ওই পাম্প হাউস থেকেই পাইপলাইনের মাধ্যমে কবরডাঙ্গা বস্তিতে জল সরবরাহ করা হয় । এছাড়া ওই এলাকায় রয়েছে ২-৩ টি টিউবওয়েল । যেগুলি বেশ কয়েকদিন ধরেই বিকল হয়ে পড়ে আছে । তাই পানীয় জলের একমাত্র বিকল্প বলতে পুরসভার সরবরাহ করা জল । কিন্তু বিগত প্রায় সাত দিন ধরে ট্যাপে জল আসা বন্ধ হয়ে গেছে ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,পুরসভার ট্যাপগুলিতে জল না আসার কারন খোঁজার জন্য এদিন রবিবার কবরডাঙ্গা বস্তির কয়েকজন মানুষ একটি পাইপ খুলে দেখতে যান ৷ আর তখনই বেড়িয়ে আসতে থাকে দুর্গন্ধযুক্ত দূষিত জল । তার সঙ্গে বেরিয়ে আসে ছোটখাটো পোকামাকড়,কেচো থেকে শুরু অসংখ্য সর্পিলাকৃতি জ্যান্ত ও মৃত মাছ । আর এর ফলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায় । এলাকার মানুষ পুরসভার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন ।
স্থানীয় বাসিন্দা প্রতিমা গড়াই,মায়া দাস,সরোজ মণ্ডলরা বলেন, ‘শুধু আজ নয়,প্রায়ই সাপের মত মাছ বের হয়৷ কখনও জ্যান্ত, কখনও মৃত মাছ । তার সঙ্গে ছোটছোট পোকামাকড়, কেচো তো আছেই । ওই মাছগুলো যখন পাইপে জড়ো হয়ে যায় তখন ট্যাপ দিয়ে জল পড়াও বন্ধ হয়ে যায় । এদিকে পুরসভা বলে ওরা নাকি ফিল্টার করে জল সরবরাহ করে । যদি ফিল্টারই করবে তাহলে পাইপের জলে পোকামাকড়, কেচো,মাছ আসছে কি করে ? পুরসভা দিনের পর দিন আমাদের এই রকম বিষাক্ত জল পান করতে বাধ্য করছে । বস্তির লোক বলে আমাদের কোনও দাম নেই ।’ তাঁদের অভিযোগ, এনিয়ে পুরসভার কাছে অভিযোগ জানানো হলে মাঝে মধ্যে লোকজন এসে পাইপ মেরামতির কাজ করে দিয়ে চলে যায় । তারপর ফের একই অবস্থা । বড়বড় মৃত মাছ জমে ফের জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় ।
এদিকে এদিন খবর পেতেই কবরডাঙ্গা বস্তি এলাকায় যান বাঁকুড়া পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য গৌতম দাস । তিনি জানান,পাইপের ভিতরে কিভাবে মাছ,পোকামাকড় আসছে তা খতিয়ে দেখা হবে । পাশাপাশি ওই এলাকায় দ্রুত জল সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন ।।