এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,৩১ আগস্ট : বাবা মারা গেছে কয়েক বছর আগে ৷ ১২ বছর বয়সের ছোট্ট মেয়েটার কাছে তার মা ছিল সব কিছু ৷ কিন্তু সেই গর্ভধারিণী মা যে তার এত বড় সর্বনাশ করে দেবে সেটা কল্পনাও করেনি মেয়েটি৷ মেয়েটির মা ফের এক ব্যক্তিকে বিয়ে করে । একই ঘরে একই বিছানায় সৎ বাবা ও মায়ের সঙ্গে ঘুমতো মেয়েটি । কিন্তু মায়ের সাথে সঙ্গম করার পাশাপাশি তাকেও লালসার শিকার বানাতো সৎ বাবা । যন্ত্রণায় চিৎকার করলে মা মুখে কাপড় গুঁজে দিয়ে হাত চেপে ধরে থাকতো । এরকমই একজন গর্ভধারিণী মায়ের সন্ধান পাওয়া গেছে বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ এলাকায় । শেষ পর্যন্ত মামা-মামি ঘটনার কথা জানতে পারলে তারা মেয়েটিকে সঙ্গে করে কিশোরগঞ্জ থানায় নিয়ে গিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করে । সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মেয়েটির সৎ বাবা রশিদুল ইসলাম(৪০) তার দ্বিতীয় স্ত্রী আঁখি আক্তার(২৮)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ৷ মেয়েটি পুলিশকে জানিয়েছে যে সৎ বাবার ধর্ষণে সে দু’বার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিল । প্রায় ৫ মাস আগে ২ মাসের গর্ভবতী হয়ে পড়ে সে। প্রথমবার মায়ের সঙ্গেই সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে । কিন্তু সৎ বাবা ও মা গর্ভনাশক ঔষুধ খাইয়ে তাকে গর্ভপাত করায় । শনিবার (৩০ আগষ্ট) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম।
জানা গেছে,অভিযুক্তরা নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউপির গাংবের গ্রামের বাসিন্দা। নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই গাংবের গ্রামের আসাদুল মিস্ত্রির ছেলে রশিদুল ইসলাম(৪০) তার দ্বিতীয় স্ত্রী আঁখি আক্তার(২৮)। রশিদুল ইসলাম ১২ বছর বয়সী সৎ মেয়েকে নিয়ে উপজেলার ব্র্যাক অফিস সংলগ্ন একটি ভাড়া ঘড়ে থাকে । সে সৎ মেয়েকে প্রায় ১০ মাস ধরে ধর্ষণ করছিল । তাকে সহযোগিতা করছিল কিশোরীর নিজের মা। প্রায় ৫ মাস আগে ২ মাসের গর্ভবতী হওয়ার ঘটনাও ঘটে সৎ মেয়ের। সৎ বাবা ও মা (২৮) গর্ভনাশক ঔষুধ খাইয়ে কিশোরীকে গর্ভপাত করায় । জানা গেছে,কয়েকদিন আগে কিশোরীটির মামা-মামি ভাগনীকে তাদের সাথে তাদের নিয়ে যেতে চাইলে মেয়েটির সৎ বাবা তাদের বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে জোর করে মামা-মামী কিশোরী ভাগনীকে তাদের সাথে নিয়ে যায়। আর মামার বাড়ি যাওয়া মাত্রই ভাগনী তার উপর ঘটে চলা বর্বরোচিত অত্যাচারের ঘটনার কথা মামা- মামীর কাছে বিস্তারিত জানায়। ঘটনা শুনে হতভম্ব হয়ে পড়ে মামা-মামী। কিশোরগঞ্জ থানায় এসে সৎ বাবা ও মাকে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেন কিশোরীটির মামা একই ইউনিয়নের মুশরুত পানিয়ালপুকুর গ্রামের সোহাগ হোসেন ৷
গত ২৯ আগস্ট তিনি একটি মামলা দায়ের করলে ওই দিনেই পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে সৎ বাবা ও মাকে গ্রেফতার করে কিশোরগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে। শনিবার (৩০ আগষ্ট) দুপুরে ধৃতদের নীলফামারী জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেয় কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশ।
কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের ঘটনায় কিশোরীটির সৎ বাবা ও মাকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।।

