এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১১ জুন : পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন শুরু হওয়ার পর থেকেই বিরোধী দলগুলিকে মনোনয়ন জমা দেওয়ায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ এবং মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস কর্মীকে খুনের ঘটনার পর উত্তাল রাজ্যের রাজনৈতিক মহল । এরই মাঝে একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের পুলিশের পোশাক পরিয়ে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তর । ওই সমস্ত ‘তৃণমূল ঘেঁষা’ সিভিক ভলেন্টিয়ারদের দিয়ে ভোট প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হবে বলে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন । বিশেষ করে কয়েকটি “সংবেদনশীল” জেলার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি ।
রবিবার শুভেন্দু অধিকারী নিজের ফেসবুক পেজে এনিয়ে লিখেছেন,’সূত্র মারফত একটা খবর পাচ্ছি যে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তর সিভিক ভলেন্টিয়ার দের পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুলিশ কর্মী হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছে। তাদের পুলিশের উর্দি পরিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে। বিশেষ করে জলপাইগুড়ি, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং বীরভূমের মতো “সংবেদনশীল” জেলাগুলিতে এদের ব্যবহার করা হবে। শুধু তাই নয় পরিকল্পনা এমন যে তাদের নিজের জেলায় না রেখে অন্য জেলায় ব্যবহার করা হবে যাতে তারা যে সিভিক ভলেন্টিয়ার সেই পরিচয় প্রকাশ না পায়, কেউ যাতে তাদের চিনতে না পারেন।’

তিনি আরও লিখেছেন,’এটি একটি দ্বিমুখী কৌশল যা সহজেই অনুমেয় :
ক) বুথে বুথে প্রয়োজনীয় পুলিশের ঘাটতি এদের দিয়ে পূরণ করে বুথ গুলি নিয়ন্ত্রণ করা।
খ) “সংবেদনশীল” জেলাগুলির যে সব এলাকায় তৃণমূলের পায়ের নিচে জমি নেই এবং বিজেপি শক্তিশালী সেখানে তৃণমূল ঘেঁষা এই সিভিক ভলেন্টিয়ারদের দিয়ে ভোট প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করা ও তৃণমূলের সাথে দল ভারী করে বিরোধীদের উপর বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার করে বুথ মুখি হতে না দেওয়া।
পাশাপাশি এই পরিকল্পনা বানচাল করতে নিজেদের প্রস্তুতির কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি । এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন,’আমরাও এবার আমাদের পরিকল্পনা খুব ভালো ভাবেই করে রেখেছি। আমাদের কাছে জেলাগুলির সিভিক ভলেন্টিয়ার দের পরিচয়, তারা কে কোন থানায় পোস্টিং ইত্যাদি সব রকম তথ্য আছে। যদি রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তর এমন কোনো পরিকল্পনা করে তবে তার যথাযথ মোকাবিলা করা হবে, সাথে সমস্ত তথ্য প্রমান সহ আমরা মহামান্য উচ্চ আদালতে যাবো এবং মহামান্য আদালতকে জানাব যে কিভাবে মহামান্য কলকাতা উচ্চ আদালতের রায় কে প্রশাসন ‘প্রহসন’ এ পরিণত করছে ।’।

