এইদিন ওয়েবডেস্ক,নূর সুলতান,০৬ জানুয়ারী : কাজাখস্তানে বছরের শুরু থেকেই জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে । বুধবার কাজাখস্তানের বৃহত্তম শহরে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের তুমুল সংঘর্ষ বাধে । পাশাপাশি বিক্ষোভকারীরা রাষ্ট্রপতির বাসভবন এবং মেয়রের অফিসে হামলা চালায় এবং আগুন ধরিয়ে দেয় । বিক্ষোভকারীদের রুখতে পুলিশ জল কামান, কাঁদানে গ্যাস ও কনকুসন গ্রেনেড (concussion grenades) ব্যাবহার করে । তা সত্ত্বেও আন্দোলনকারীরদের সামনে বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি পুলিশ । শেষ পর্যন্ত পুলিশ পালিয়ে যায় । তবে পালানোর আগে আলমাটির বাসভবনে কিছু বিক্ষোভকারীর উপর গুলি চালায় বলে জানা গেছে । কাজাখের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হিংসায় পুলিশকর্মী ও ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মিলে ৮ জন নিহত হয়েছেন । আহত হয়েছে ৩০০ জনের বেশি । তবে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কতজন হতাহত হয়ে আর কোনও পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়নি ।
এই পরিস্থিতিতির কারনে বুধবার সকালে কয়েকটি শহরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয় । রাতের দিয়ে তার পরিধি বাড়িয়ে সারাদেশ জুড়ে তা জারি করে দেয় কাজাখস্তানের বর্তমান সরকার । সেই সঙ্গে দেশব্যাপী ইন্টারনেট এবং মোবাইল ফোনের অ্যাক্সেস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । তবে দেশের আর্থিক রাজধানী আলমাতি এবং ম্যাঙ্গিস্টাউ প্রদেশ ও রাজধানী নূর-সুলতানে এখনও পর্যন্ত কোনো বিক্ষোভের খবর পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে ।
এদিকে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন একটি সামরিক জোট বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে সাহায্যের জন্য অনুরোধ করার পরে তারা কাজাখস্তানে একটি শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠাবে ।
রাষ্ট্রপতি কাসিম-জোমার্ট টোকায়েভের সহায়তার জন্য ছয়টি সাবেক সোভিয়েত দেশের মস্কো-ভিত্তিক জোট যৌথ নিরাপত্তা চুক্তি সংস্থার কাছে আবেদন করেছিলেন । এর কয়েক ঘন্টা পরে Collective Security Treaty Organization-এর কাউন্সিল একটি অনির্দিষ্ট সংখ্যক শান্তিরক্ষী পাঠানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান তথা আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান । রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা তাস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরে আলমাটিতে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস পুনরুদ্ধার করা হয়েছে ।।