এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৫ এপ্রিল : বিধানসভা,পুরসভা এবং তারপর উপনির্বাচনে পরপর ভরাডুবির পর থেকেই ছন্নছাড়া অবস্থা রাজ্য বিজেপির । সময় যত গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব । আর তার জেরে কেউ ছাড়ছেন দলীয় পদ, কেউ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ৷ কেউ আবার দল ছেড়ে সরাসরি চলে যাচ্ছেন শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের ছত্রছায়ায় ৷
রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেই বিজেপির ভাঙন লক্ষ্য করা যাচ্ছে । তবে ব্যপক ভাঙন দেখা যাচ্ছে মূর্শিদাবাদ জেলায় । পুরভোটের আগেই তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলা বিজেপির সম্পাদক তপন চন্দ্র । এবার দক্ষিণ মুর্শিদাবাদের জেলা সভাপতি শাখারভ সরকারের বিরুদ্ধে ‘একনায়কতন্ত্র’ চালানোর অভিযোগ তুলে সরে দাঁড়ালেন মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ হালদার এবং দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির কর্মসমিতির সদস্য তড়িত্কান্তি সরকার । রবিবার তাঁরা সাংগঠনিক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ।
মূর্শিদাবাদ ছাড়াও ক্ষোভের সুর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়না বিধানসভার(Moyna constituency) বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দার (Ashok Dinda) গলাতেও । শোনা যাচ্ছে,তিনি নাকি দলের রাজ্য সাংগঠনিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে লেফট হয়েছেন । তবে রয়েছেন বিধায়কদের গ্রুপে । অশোক দিন্দা ছাড়াও ইতিপূর্বে পার্টির সাংগঠনিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়, শান্তনু ঠাকুর থেকে শুরু করে বিজেপির একাধিক নেতানেত্রী ।
প্রসঙ্গত,রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিতে যোগদানের যে হিড়িক পড়েছিল ফলাফল ঘোষণার পর তার উলটো চিত্র দেখতে পাওয়া যাচ্ছে । ফল বের হতেই ফের তৃণমূলে ফিরে যান ডোমজুড়ের বিজেপি প্রার্থী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের । বিজেপির পুরনো নেতা বলে পরিচিত জয়প্রকাশ মজুমদারও শাসকদলে নাম লেখান । রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলবদলের কারন নিয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু না জানা গেলেও দলীয় নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভের কারনেই দলত্যাগ বলে জানিয়েছিলেন জয়প্রকাশবাবু ।
তবে ক্ষোভের প্রকাশ শুধু রাজ্যস্তরেই নেই,বরঞ্চ জেলা ও ব্লকস্তরের বহু নেতার মধ্যেই রয়েছে । বলা যেতে পারে দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে যবে থেকে সুকান্ত মজুমদারকে রাজ্য সভাপতি করা হয়েছে, তখন থেকেই বিজেপির অন্দরে ক্ষোভ আরও বেড়ে গেছে । নব্য বিজেপি সভাপতি এসে জেলার বিভিন্ন সাংগঠনিক পদের রদবদল করেন । ‘দিলীপ লবি’র নেতাদের হঠিয়ে বসানো হয় নতুন মুখকে । আর তখন থেকেই পদ হারানো নেতারা নিজেদের কার্যত গুটিয়ে রেখেছেন । এমতাবস্থায় দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে ঘোর সংশয়ের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের নীচু তলার কর্মী ও সমর্থকরা ।।