এইদিন ওয়েবডেস্ক,ঢাকা,২১ অক্টোবর : ইসরায়েলে নাশকতা চালিয়ে অন্তত ১,৪০০ জন শিশু,মহিলা, পুরুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে ফিলিস্থিনি সন্ত্রাসী সংগঠন হামাস । বহু মানুষ আহত হয়েছে । অপহরণ করা হয়েছে ২০০ থেকে ২৫০ জনকে । ইসরায়েল পালটা সন্ত্রাসী খতম অভিযান শুরু করলে সন্ত্রাসী ও সাধারণ গাজাবাসী মিলে আরও কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয় । কিন্তু নিরীহ ইসরায়েলিদের মৃত্যুকে ধামাচাপা দিয়ে ফিলিস্থিনিদের মৃত্যুকে বড় করে দেখানোর প্রবনতা শুরু হয়েছে বিশ্বজুড়ে ।
ঠিক যেমনভাবে গুজরাটের গোধরায় ৯ জন পুরুষ, ২৫ জন মহিলা এবং ২৫ শিশু মিলে মোট ৫৯ জন হিন্দুকে নারকীয় কায়দায় জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনাকে ধামাচাপা দিয়ে ওই ঘটনায় সৃষ্ট দাঙ্গাকে বেশি করে সামনে নিয়ে এসেছিল দেশের তথাকথিত সেকুলাররা,ঠিক একই কায়দায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছে তারা । আর এতে সবচেয়ে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে মুসলিম রাষ্ট্র, অমুসলিম দেশের মুসলিম ও তথাকথিত সেকুলারদের । এবার সেই তালিকায় নাম তুলে ফেলেছে বাংলাদেশের ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির কর্তৃপক্ষও । বাংলাদেশের ইসলামি কট্টরপন্থীদের দ্বারা খুন,ধর্ষণ, বাস্তুচ্যুত হওয়ার পরেও ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির কর্তৃপক্ষের এই প্রকার দ্বিচারিতায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ।
শুক্রবার মহাষষ্ঠীর দিন ঢাকেশ্বরী মন্দির চত্বরে ‘বিশেষ প্রার্থনা’র নামে মৃত ফিলিস্থিনিদের ‘আত্মার শান্তি’ ও আহতদের সুস্থতা কামনায় ‘বিশেষ প্রার্থনা’ সভার আয়োজন করা হয় । ‘ইসরায়েল দখলদারি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলার’ নিন্দা করা হলেও নিহত ইসরায়েলিদের জন্য শোক প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ । অনেকে বিষয়টি বহু সংখ্যক মুসলিমদের চাপ বলে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন । আবার অনেককে মন্দির কর্তৃপক্ষের দ্বিচারিতার সমালোচনা করতে দেখা গেছে । উল্লাখ্য,ফিলিস্থিনিদের সমর্থনে আজ শনিবার বাংলাদেশে ‘শোক দিবস’ পালন করা হচ্ছে । ফলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিমার কথিত সেকুলারিজম নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ।।