এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২২ অক্টোবর : মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ বিধানসভার সূর্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার উত্তর চন্দনপুর গ্রামের পুজো মণ্ডপ থেকে অজ্ঞাত দুষ্কৃতীরা দেবী কালীর প্রতিমার মাথা কেটে দিয়েছে বলে বলে অভিযোগ । আজ বুধবার সকালে প্রতিমা ভাঙচুরের বিষয়টি নজরে পড়লে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায় । পুলিশের বিরুদ্ধেও বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ তুলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ যে “জিহাদি” রাই এই ঘটনায় জড়িত। তিনি রাজ্যের হিন্দুদের সতর্ক করে বলেছেন, “হিন্দুরা এখনি না জাগলে সমূহ বিপদ অপেক্ষা করছে আগামী দিনে”।
ফের একটা নতুন ভিডিও পোস্ট করে সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও-এর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তিনি । ভিডিও পোস্ট করে তিনি লিখেছেন,’মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ শেষমেশ মা কালী কে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে গেলো !!!ছিঃ ছিঃ, এই লজ্জা রাখার জায়গা নেই…
গতকাল কাকদ্বীপ বিধানসভার সূর্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার উত্তর চন্দনপুর গ্রামের পুজো মণ্ডপ থেকে মা কালীর প্রতিমার মাথা কেটে নিয়ে চলে যায় জেহাদিরা।রাজ্য প্রশাসন যথারিতি তৎপরতার সঙ্গে ঘটনা চাপা দিতে সব রকম প্রয়াস করে। পুলিশ প্রথমে গ্রামবাসীদের ভয় দেখিয়ে মন্দিরের দরজা বন্ধ করলেও গ্রামবাসীদের সম্মিলিত প্রদিবাদে মন্দিরের দরজা খুলতে বাধ্য হয় পুলিশ।কয়লা মামলায় পাঁচ বার ইডির তলব পাওয়া নির্লজ্জ বেহায়া সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও, কয়েকশো পুলিশ নিয়ে মা কালীর ভাঙ্গা মূর্তি কে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে পালালো।
দুষ্কৃতীদের ধরার চেষ্টা না করে পুলিশ গ্রামবাসীদের দমন করার এই অপচেষ্টা করায় হিন্দুরা জেগে ওঠে ও সংঘবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু করায় পুলিশের ওপরমহলে বিড়ম্বনা সৃষ্টি হয়।কাকদ্বীপের হিন্দুদের সংঘবদ্ধ লড়াই কে কুর্নিশ জানাই।’
এর আগে তিনি লিখেছিলেন,’নিচের ভিডিওটা দেখে কেউ বাংলাদেশ বলে ভুল করবেন না, এটা পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান অবস্থা। আমি বার বার বলেছি পশ্চিমবঙ্গ কে পশ্চিম বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত চলছে, হিন্দুরা এখনি না জাগলে সমূহ বিপদ অপেক্ষা করছে আগামী দিনে ।’।
“