এইদিন ওয়েবডেস্ক,দক্ষিণ ২৪ পরগণা,২২ ফেব্রুয়ারী : স্বামী ও সন্তানের সামনে বধূকে গণধর্ষণের মামলায় দোষী সব্যস্ত ৩ আসামিকে আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ৷ ঘটনাটি ২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারী দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার বজবজ থানার অন্তর্গত বিশুখারা গ্রামে ঘটেছিল বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ । সাজাপ্রাপ্তদের নাম জানানো হয়েছে, শেখ রমজান (৪৭), আব্দুল হামিদ মোল্লা (২৭) এবং ধনু শেখ (৪৫) । এই প্রকার ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের কারনে পুলিশ তাদের “তিন নরপিশাচ” বলে অবিহিত করেছে ।
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পেজে লেখা হয়েছে,’২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারী । ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত প্রায় একটা। রাতের অন্ধকারে এক গৃহস্থ পরিবারের দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ে কিছু দুষ্কৃতী। বজবজ থানার অন্তর্গত বিশুখারা গ্রামের সেই ছাপোষা পরিবারে চূড়ান্ত বিপর্যয় নেমে এসেছিল ওই অভিশপ্ত রাতে। টাকা-পয়সা, সোনা-দানা লুট করেও যখন নরপিশাচদের সাধ মেটেনি, তখন তাদের পাশবিক লালসার শিকার হয়েছিলেন এক অসহায় গৃহবধূ, তাঁর স্বামী ও সন্তানের সামনে।’
লেখা হয়েছে,’অভিযোগ দায়ের হলে,বজবজ থানার তৎকালীন তদন্তকারী অফিসার সাব-ইন্সপেক্টর ধীমান বৈরাগীর নেতৃত্বে শুরু হল সত্যান্বেষণ। জেলা পুলিশের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত, গোপন সূত্র, সঠিক প্রমাণ সংগ্রহ এবং আইনি লড়াইয়ের পথ পেরিয়ে অবশেষে আটক করা গেল তিন জনকে। পরবর্তীতে অ্যারেস্ট হল দলের মূল পান্ডা ধনু শেখ ও আরও একজন সন্দেহভাজন। টি আই প্যারেডের মাধ্যমে দোষীদের শনাক্ত করে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছিল পাঁচজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। মামলা চলাকালীনই জেলে মৃত্যু হয় অন্যতম আসামি ইমাম শেখের। অপর এক সন্দেহভাজন ইব্রাহিম শেখ উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের অভাবে খালাস পায়। বাকি তিনজন? শেখ রমজান, আব্দুল হামিদ মোল্লা এবং ধনু শেখ – এই তিন নরপিশাচ সম্প্রতি দণ্ডিত হয়েছে যাবজ্জীবন কারাবাসে ।’ সবশেষে পুলিশ লিখেছে,’নির্যাতিতা ন্যায়বিচার পেয়েছেন, এটুকুই সান্ত্বনা।’।
ছবি ও তথ্য : পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ফেসবুক পেজ থেকে গৃহীত৷