হয়তো তোমাকে কোনোদিনই নিজের মতো করে আর পাওয়া হবে না। তবুও প্রতিনিয়ত বাঁচি তোমার দেওয়া আঘাত গুলো নিয়ে । সেদিন তোমাকে রাসবিহারীর ক্রসিং এ দেখলাম। নতুন গাড়ি কিনেছো দেখে খুব আনন্দ হলো। কাছে গিয়ে অভিনন্দন দিতে চাইছিলাম। কিন্তু, গাড়ির ভিতরে তোমাদের দুজনকে দেখে সাহস হলো না এগিয়ে যাওয়ার জন্য।
কলেজের প্রথম দেখাটা প্রায়ই মনে পড়ে।সেদিন ভুল করে থার্ড ইয়ারের ক্লাসে ঢুকে পড়েছিলাম। তুমি ক্লাস চলাকালীন বলে উঠেছিলে—দিদিভাই এটা থার্ড ইয়ারের ইংলিশ ক্লাস চলছে।দিদিভাই! আশ্চর্য ভঙ্গিতে তোমার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। আর সেই প্রথম দেখা তোমায়।
প্রথমদিন যতটা বিরক্ত হয়েছিলাম পরবর্তী সময়ে অনেক বেশি ভালোবেসেছিলাম।কলেজের নবীন বরনে তোমার দেওয়া সেই হলুদ গোলাপটা আজও আমার ভালোবাসার ডাইরিতে রাখা আছে। কত স্মৃতি, কত স্বপ্ন, তোমার দেওয়া বিশ্বাস ভরা কথাগুলো আজ দীর্ঘনিঃশ্বাসের সাথে চোখের জলে বয়ে যায়। কলেজ শেষে কফি হাউসে বসা,জন্মদিনে আমার প্রিয় সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বই উপহার দেওয়া সবই আমার কাছে অতি যত্ন করে রাখা আছে; শুধু তুমিই নেই। শুধুমাত্র একটা ম্যাসেজ— কলকাতায় ফিরে আমার সাথে যোগাযোগ করবে। হ্যাঁ! সৌভাগ্য হয়েছিল যোগাযোগের; দুবছর পর ফোন করে বলেছিলে— আগামী ২৬শে নভেম্বর বিয়ে আশা করি আসবে।
কলেজের প্রথমদিন যতটা বিরক্ত ও আশ্চর্য হয়েছিলাম তার থেকে বেশী বিভ্রান্ত তোমার ফোন পেয়ে হয়েছিলাম। আজও জানতে পারিনি ; আমাদের ভালোবাসার সম্পর্কটা ঠিক কোন সম্পর্ক তৈরী করেছিল? আজও বুঝতে পারিনি আমার অনুভূতি, আবেগগুলো তোমার হৃদয়ের কোথায় বসিয়েছিলে তুমি? তাই আজও পুরনো স্মৃতি নিয়ে নতুনভাবে বেঁচে থাকার লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছি। ভালো থেকো ভালোবাসা তোমার নতুন ভালোবাসার সাথে……..।