প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৯ অক্টোবর : বাবাকে অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হল ছেলে ।ধৃতের নাম সায়ন্তিক গুপ্ত। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কালনা শহরের ডাঙ্গাপাড়ায়। কালনা থানার পুলিশ শনিবার বিকালে ডাঙ্গাপাড়ার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ৪৯ বছর বয়সী উৎপল গুপ্তর মৃতদের । এই মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ মৃতর ছেলে সায়ন্তিককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে । জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার বিবরণ জেনে পুলিশ অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারায় মামলা রুজু করে সায়ন্তিক গুপ্তকে গ্রেপ্তার করে । রবিবার ধৃতকে পেশ করা হয় কালনা মহকুমা আদালতে । বিচারক ধৃতকে ১৪ দিন জেল হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন । এদিন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত ব্যক্তির দেহের ময়নাতদন্ত হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনার
ডাঙ্গাপাড়া নিবাসী উৎপল গুপ্ত পেশায় ছিলেন
সেলসম্যান। মৃতের স্ত্রী শিপ্রা গুপ্ত বলেন,আমার স্বামী মদের নেশা করতেন। শনিবার বেলায় মদ খেয়ে ছিল আমার স্বামী । দুপুরে খাওয়া দাওয়া সেরে সবাই শুয়েছিলেন।ওই সময়ে গাড়ির চাবি নিয়ে আমার স্বামী ফের মদ খেতে যাচ্ছিল।তা দেখে আমার ছেলে সায়ন্তিক চাবিটি কেড়ে নিয়ে ঘরে চলে আসে।আমি ও আমার ছেলে একই ঘরেই ছিলাম।স্বামী ছিল অন্য ঘরে। এরপরেই হঠাৎ জোর আওয়াজ হতেই ছেলেকে বলি বাবার ঘরে গিয়ে কি হয়েছে দেখতে ।ছেলে সায়ন্তিক ঘরে গিয়ে দেখে ভাঙা কাঁচের উপরে আমার স্বামীর নিথর দেহ পড়ে রয়েছে।স্বামীর গলা দিয়ে অঝোরে রক্ত বের হচ্ছে’। ছেলে সায়ন্তিক গুপ্ত শনিবার জানিয়েছিল,’তাঁর বাবা শনিবার সকাল থেকে তিন চারবার মদ খেয়ে ঘরে এসেছিল।ফের বিকালে মদ খাবার জন্য মিথ্যা কথা বলে গাড়ির চাবি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হচ্ছিল।তাই তিনি তাঁর বাবার কাছ থেকে গাড়ির চাবিটা কেড়ে নিয়ে মায়ের ঘরে চলে যান।এর খানিক পরেই বাবার ঘরে জোর আওয়াজ হতেই তিনি সেখানে ছুটে যান । ওই গরে গিয়ে দেখেন,তাঁর বাবার গলা থেকে রক্ত বের হচ্ছে ।’
যদিও কালনা থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করেই এই মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নামে । মৃত ব্যক্তির ছেলেকে আটক করে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পুলিশের দাবি, মৃত ব্যক্তির ছেলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে ঘটনার দিন বাবা উৎপল গুপ্তর সঙ্গে তার ঝগড়া অশান্তি হয়। বাবা রাগ দেখালে বাবার সঙ্গে সায়ন্তিকের ধাক্কাধাক্কি হয়। ওই সময় টাল সামলাতে না পেরে সায়ন্তিকের বাবা দরজায় কাঁচের উপরে পড়ে যায় । কাঁচে গলা কেটে গিয়ে উৎপল বাবুর মৃত্যু হয় । জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীন) ধ্রুব দাস জানান,’এই ঘটনায় অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারায় মামলা রুজু করে মৃতর ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ।’।