এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৩ জুন : সম্প্রতি বীরভূম জেলার বোলপুর থানার আইসিকে তৃণমূল কংগ্রেসের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলের খিস্তি খেউড়ি করা নিয়ে তোলপাড় পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতি । আইসির অপরাধ ছিল শুধু তিনি অনুব্রতর “মহা মিছিল”-এর জন সমাগম নাকি সরকারি খাতায় কম করে দেখিয়েছিলেন । এজন্য আইসির মা ও স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিলেন তৃণমূলের ওই বর্ষীয়ান নেতা । তার জের মিটতে না মিটতেই দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার মহেশতলায় গোষ্ঠী সংঘর্ষে নতুন বিতর্কে জড়ায় পুলিশ । পুলিশের দিকে ইঁটপাটকেল নিক্ষেপকারী দাঙ্গাবাজদের শান্ত হওয়ার জন্য এক পুলিশ আধিকারিককে ‘শান্তির সাদা রুমাল’ নাড়তে গেছে । অনুব্রতর খিস্তি খেউড়ি অডিও রেকর্ডের মতই মহেশতলায় পুলিশের এহেন কীর্তির ভিডিও ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে । ভিডিও দুটি সংযুক্ত করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা পোস্টে ‘মমতা পুলিশের দ্বৈত চরিত্র’ নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ।
শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,’মমতা পুলিশের দ্বৈত চরিত্র! তোলামূল নেতা বীরভূমের ছুঁচো, মমতা পুলিশের মা বৌ তুলে জঘন্য হুমকি দিলে তখন মমতা পুলিশ ঢোঁক গিলে তা হজম করে নেয়, তোলামূলী গুণ্ডা বাহিনীর দাপটে প্রাণ ভয়ে টেবিলের তলায় ঢুকে যায় মাথায় ফাইল রেখে, আবার জেহাদিদের আক্রমণের সময় দোকানের ভেতর লুকোয় অথবা মহেশতলার ঘটনার মতো সাদা রুমাল দেখিয়ে আত্মসমর্পণের ইঙ্গিত দেয়।’
তিনি লিখেছেন,’বিশেষত তোলামূলের এক শ্রেণীর ভোটব্যাঙ্ক, মমতা পুলিশকে মেরে রক্তাক্ত করলেও সম্পূর্ণ ছাড়। তোলামূলের বা জেহাদিদের সামনে কোনরকম পুলিশগিরি চলে না। অথচ বারাবনি থানার ওসি দিব্যেন্দু মুখার্জী বিজেপির শান্তিপূর্ণ ডেপুটেশনে ৭০ বছর বয়সী প্রবীণ অমল রায় বাবুর ওপর নির্মম ভাবে লাঠি চালায়। এটাই মমতা পুলিশের বীরত্ব !’
পরিশেষে বিরোধী দলনেতা লিখেছেন,’পুলিশগিরি শুধু দেখানো যায় বিরোধীদের কাছে, সাধারণ মানুষের কাছে। মমতা পুলিশের আধিকারিকদের কাছে আমার একটাই প্রশ্ন বাড়িতে আপনাদের এই নির্লজ্জ মুখটা দেখান কি ভাবে? লজ্জা করে না আপনাদের। আমি বারাবনির বিজেপি কার্যকর্তা প্রবীণ অমল বাবুর পাশে আছি। মমতা পুলিশের এই নির্লজ্জ ব্যবহারের হিসাব আগামীদিনে ঠিক হবে।’। শুভেন্দু অধিকারীর ফেসবুক পোস্ট 👇


