সংকল্প দে, সিউড়ি( বীরভূম),০৫ ফেব্রুয়ারী : অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধা আবাসিকদের মাঝে প্রাক বিবাহ অনুষ্ঠান পালন করলেন বীরভূমের সিউড়ির তরুন-তরুনী প্রিয়নীল পাল ও সুস্মিতা দত্ত । প্রিয়নীল পাল পেশায় একজন মনোবিদ এবং সুস্মিতা দত্ত পেশায় নার্সিং কর্মী। কিন্তু তাদের নেশা সমাজসেবা । সেই সূত্রে দু’জনের পরিচয় ও প্রেম । অবশেষে তারা বিয়ের পিঁড়িতে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । তাদের প্রাক বিবাহ বা বাগদান অনুষ্ঠানের মধ্যেও ছিল অভিনবত্ব । যাঁদের নিজস্ব বাড়ি নেই বা পরিবার নেই, এমন কিছু বৃদ্ধ-বৃদ্ধার মাঝে আঙটি বদল করে তাদের আশীর্বাদ নিয়ে নতুন জীবনের পথে প্রথম পা রাখলেন প্রিয়নীল-সুস্মিতা ।
শহরের বৃদ্ধ এবং অসহায়দের আবাসিক হিসেবে পরিচিত সিউড়ি শহরের ‘সুনীতি চট্টরাজ অনিকেত আবাসিক’-এ এই শুভ অনুষ্ঠান হয় আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারী) । আংটি বদলের অনুষ্ঠানটি একদম বাড়ির মত করেই তারা আয়োজন করেন । সম্পূর্ণ ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মতন আমন্ত্রণ পর্ব থেকে শুরু করে,অনুষ্ঠানের ঘর সাজানো থেকে শুরু করে ক্যাটারিং-এর আয়োজন করা হয়। আবাসিকে বসবাসকারী বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা নব দম্পতিকে আশীর্বাদ করেন এবং মন খুলে সবাই আনন্দ করেন।
সিউড়ি শহরের বাসিন্দা প্রিয়নীল পাল বলেন, আমি নিজে একজন সমাজকর্মী ৷ বিগত ১২ বছর ধরে সামাজিক কাজ করছি।আমরা সকলকে বিশেষ দিনে বিশেষ কাজ করতে বলি। অনেকেই তাঁদের বিশেষ দিনে খাওয়া-দাওয়া দিয়েও যান । কিন্তু বাদ থেকে যায় আবাসিকদের আনন্দ করাটা। তাই শুধু খাওয়া দাওয়া না, সম্পূর্ণ পারিবারিক আনন্দ দেওয়ার জন্যই আমাদের প্রাক বিবাহের আংটি বদলের অনুষ্ঠানটি আমরা এই আবাসিকদের সঙ্গেই সপরিবারে উদযাপন করলাম।
আবাসনের কর্মী মনোজ জানান, অনেকেই অনুষ্ঠানে বেঁচে যাওয়া খাবার দিয়ে যান, অনেকেই কোন বিশেষ উপলক্ষ হিসেবেও খাবার প্যাকিং করে দিয়ে যান। তবুও আবাসিকদের মনে একটা খারাপ লাগা থেকেই যায়। কারণ তাঁরা সেই পারিবারিক আনন্দে শরিক হতে পারেন না। এমন অবস্থায় তাদেরকে নিয়েই একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করাটা সত্যি অভিনব, আবাসিকরা মন থেকে খুবই আনন্দিত।।