এইদিন ওয়েবডেস্ক,বেঙ্গালুরু,২৮ আগস্ট : কর্ণাটকের ধর্মস্থল গণকবর মামলায় ২০২৫ সালের ২৬শে আগস্ট বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) সমাজকর্মী মহেশ শেঠি থিম্মারোদিকে গ্রেপ্তার করে। এসআইটি উজিরেতে তার বাড়িতে তল্লাশি চালায়, যেখান থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়।
প্রতিবেদন অনুসারে, তদন্তে জানা গেছে যে মহেশ গত দুই মাস ধরে গোপন তথ্য ফাঁসকারী সিএন চিন্নায়াকে তার বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিলেন। চিন্নায়া দাবি করেছিলেন যে ১৯৯৮ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে যৌন নির্যাতনের শিকার মহিলাদের মৃতদেহ সহ বেশ কয়েকটি মৃতদেহ ধর্মস্থলে সমাহিত করা হয়েছিল। কিন্তু এসআইটি তার দ্বারা উপস্থাপিত খুলিগুলিকে জাল বলে আবিষ্কার করে, যার পরে মিথ্যা প্রমাণ দেওয়ার অভিযোগে চিন্নায়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বেলথানগাড়ি আদালতের ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে তল্লাশি চালানো হয়। বিজেপি নেতা বিএল সন্তোষের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করার জন্য মহেশকে পূর্বে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তিনি জামিনে আছেন। বিজেপি এই বিষয়ে এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছে, এটিকে হিন্দু ভাবাবেগের উপর আক্রমণ বলে অভিহিত করেছে এবং ১ সেপ্টেম্বর থেকে ‘ধর্মস্থল চলো’ আন্দোলনের ঘোষণাও করা হয়েছে।
উল্লেখ্য,চিন্নায়া দাবি করেছিলেন যে ১৯৯৮ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ধর্মস্থলে অনেক মৃতদেহ সমাহিত করা হয়েছিল, যার মধ্যে যৌন নির্যাতনের শিকার মহিলাদের মৃতদেহও ছিল। তবে তদন্তের সময় এরকম কিছুই পাওয়া যায়নি।
এর আগে ম্যাঙ্গালুরুর ধর্মস্থল মঞ্জুনাথ স্বামী মন্দিরে গত দুই দশক ধরে একাধিক খুন, ধর্ষণ এবং কবর দেওয়ার অভিযোগকারী প্রাক্তন সাফাইকর্মী সিএন চিন্নাইয়াকে গত শনিবার এসআইটি গ্রেপ্তার করেছে।যিনি এতদিন মুখোশ পরে প্যানেলের সামনে হাজির হয়েছিলেন । পুলিশের জেরায় সে স্বীকার করেছে যে নগর নকশালরা এই গুজব ছড়ানোর জন্য তাকে ২ লক্ষ টাকা দিয়েছিল । পুলিশ কয়েক ঘন্টা জেরার পর তাকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে বিচার বিভাগীয় প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট বিজয়েন্দ্রের সামনে হাজির করা হয় এবং এসআইটি আরও তদন্তের জন্য তাকএ ১০ দিনের হেফাজত নিয়েছে ।
এর আগে সুজাতা ভাট নামে যে মহিলা তার মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার দাবি করেছিলেন তিনিও নিজের বয়ান থেকে সরে আসে৷ সুজাতা ভাট একটি সংবাদ চ্যানেলকে বলেছিলেন যে তিনি একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছিলেন যে তার মেয়ে অনন্যা ভাট ২০০৩ সালে ধর্মস্থল থেকে কিছু ব্যক্তির চাপে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন যে তার সেই নামে কোনও মেয়েই নেই এবং সম্পত্তির মামলায় তিনি ক্ষুব্ধ হওয়ায় তিনি এই মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। অভিযোগকারী যেখানে গনকবর দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন, তদন্ত দল বেশিরভাগ জায়গায় মানুষের দেহাবশেষ খুঁজে না পাওয়ায়, কর্ণাটক সরকার এবং এসআইটি অভিযোগকারীকে গ্রেপ্তারের জন্য চাপের মুখে পড়েছিল । এখন এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে এই পুরো গেমপ্লান ছিল নকশালদের,যারা হিন্দু ধর্মকে বদনাম করতে এই ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়েছিল ।।