দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),০২ জানুয়ারী : পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া থানার শ্রীখণ্ড ও আলমপুর গ্রামের মাঝে নির্জন এলাকায় ঝোপের একটা গাছে ঝুলন্ত নরকঙ্কাল উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কঙ্কালটি উদ্ধার করে পুলিশের ৷ কঙ্কালের শরীরের উপর অংশে লেগে থাকা একটি লালচে টি শার্ট দেখে দেহটি সনাক্ত করে শ্রীখণ্ড গ্রামের একটি পরিবার ৷ পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম লালন ঘোষ (৫২)। গত ২৬ অক্টোবর থেকে থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,শ্রীখণ্ড গ্রাম থেকে প্রায় দেড় দুই কিলোমিটার দূরে আলমপুর ও শ্রীখণ্ড গ্রামের মাঝামাঝি এলাকায় একটি বিল রয়েছে । ওই বিলের পাশে ঝোপঝাড় রয়েছে । বিলের কাছাকাছি কিছুটা জমি বোরোচাষের জন্য পরিস্কার করছিলেন স্থানীয় এক কৃষক। সেই সময় কিছুটা দূরে আলমপুর গ্রামের এক জনমজুর একাই ওই বিলের কাছে ঝোপ জঙ্গলে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহের জন্য গিয়েছিলে । তিনি কাঠ সংগ্রহ করতে করতেই প্রথম ওইকঙ্কালটি একটা গাছ থেকে ঝুলতে দেখেন । সেই দৃশ্য দেখে তিনি ভয় পেয়ে যান৷ ছুটতে ছুটতে গ্রামে এসে খবর দেন । ঘটনার কথা চাওড় হতেই প্রচুর লোকজন জড়ো হয়ে যায় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কাটোয়া থানার পুলিশ । পুলিশ কঙ্কালটি গাছ থেকে নামায় । পরে মৃতের পরিবার কঙ্কালটির পরনের জামা দেখে চিহ্নিত করে ।
জানা গেছে,শ্রীখণ্ড গ্রামের বাসিন্দা লালন ঘোষ ছিলেন পেশায় কৃষক । বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী মীতাদেবী, তিন ছেলে বিজয়, নিঠুর ও প্রীতম । একই পরিবারে তিন ভাই থাকেন । গত ২৬ অক্টোবর মাঠের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন । তার পরনে ছিল লালচে টিশার্ট এবং লুঙ্গি। তারপর আর বাড়ি না ফিরলে পরিবার থানায় একটা নিখোঁজ ডাইরি করেন । আজ বৃহস্পতিবার তার কঙ্কাল উদ্ধার হয় ।
পরিবার সূত্রে খবর,নিখোঁজ হওয়ার আগে কিছুদিন ধরে মনমরা ছিলেন লালন ঘোষ । প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান যে ওই ব্যক্তি মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী হয়েছেন । যদিও মানসিক অবসাদের কারন স্পষ্ট নয় মৃতের পরিবারের কাছে । পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে।।