এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,২৮ এপ্রিল : বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সাতকানিয়ায় ষষ্ঠ শ্রেণিপড়ুয়া নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাংলাদেশের মিডিয়া আউটলেট সময়ের কন্ঠস্বর-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,গত বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে উপজেলার কেরানীহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে অভিযুক্ত বাবাকে আটক করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ জাহেদুল ইসলাম। ধৃত ব্যক্তি মোহাম্মদ আলী (৪০) উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মনোহর চৌধুরী পাড়ার বাসিন্দা মৃত এমদাদ আলীর ছেলে। এই ঘটনায় অভিযুক্তের স্ত্রী নাহিদা আক্তার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সাতকানিয়া থানায় একটি মামলা করেন। তার ভিত্তিতেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধর্ষণের শিকার মেয়েটি বিগত ১০ থেকে ১৫ দিন ধরে পেট ব্যথাসহ বমি হওয়ার উপসর্গ দেখা দেয় । গত ২২ এপ্রিল তাকে অভিযুক্ত বাবা মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে উপজেলার কেরানীহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠান মা নাহিদা আক্তার। ওই সময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাহিদাকে ফোন দিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বলেন। নাহিদা তাৎক্ষণিক হাসপাতালে গিয়ে দেখেন তার মেয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছে। তিনি চিকিৎসকের কাছে কি হয়েছে জানতে চাইলে চিকিৎসক জানান, তার মেয়ে গর্ভবতী। গর্ভবতী হওয়ার কারণে তার পেট ব্যথাসহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। পরে অভিযুক্ত বাবা মহম্মদ আলীর অনুরোধে কর্তব্যরত চিকিৎসক মেয়েটির গর্ভপাত করান। এর পর নাহিদা তার মেয়েকে এ ঘটনাকে কে ঘটিয়েছে জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, চলতি বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি রাত ১২ টার দিকে ও ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১ টার দিকে দু’দফায় তার শোবার ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে তারই বাবা মহম্মদ আলী। ঘটনার কথা কাউকে প্রকাশ করলে হত্যার হুমকিও দেয়
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,পরে মেয়েটির মা নাহিদা আক্তার তার ভাই মহম্মদ নাজিম উদ্দিনকে ফোন করে হাসপাতালে ডেকে আনেন। এই সময় তারা ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত মহম্মদ আলী ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করে । সে বিষয়ে কাউকে না জানানোর জন্য অনুরোধ করে। শেষ পর্যন্ত নির্যাততা কিশোরীর মা ও আত্মীয়-স্বজন অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় । মেয়েটির
মা নাহিদা আক্তার বলেন,’যে মানুষ নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করতে পারে সে কখনোই আমার স্বামী হতে পারে না। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’ সাতকানিয়া থানার ওসি মহম্মদ জাহেদুল ইসলাম বলেন, মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।।