প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৭ এপ্রিল : ভোট নিয়ে সবাই যখন ব্যস্ত তখন দীর্ঘ সময় ধরে রাস্তার ধারে দাদার মৃতদেহ আগলে বসে থাকলেন বোন । শনিবার বর্ধমানের নবাবহাট এলাকায় জাতীয় সড়কের পাশে এমনই এক অমানবিক ঘটনা প্রত্যক্ষ করে কার্যত “থ“ বনে গেলেন এলাকার বাসিন্দারা। তবে নদীয়া ফেরার জন্য ওই মহিলাকে সাহায্যের জন্য এলাকার কেউ এগিয়ে আসেননি ।পরে পুলিশের তাদের নদীয়া যাওয়ার ব্যবস্থা করে ।
মৃত ব্যক্তির নাম প্রকাশ সরকার ( ৩৫)। বাড়ি নদীয়া জেলার ভীমপুর থানার মহেশপুর গ্রামে।মৃত ব্যক্তির পড়শী পরিবারের বোন দীপালি সরকার জানান , তিনি বিহারে থাকেন তাঁর কাছে ফোন আসে যে তাঁর পাড়ার সম্পর্কিত দাদা উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে।দীপালি বলেন ,এই খবর পেয়েই তিনি ও পাড়ার অপর এক যুবক তড়িঘড়ি উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে পৌছে দেখেন সত্যি তাঁর দাদা প্রকাশ মারা গিয়েছে। মৃতদেহ নদীয়ার মহেশপুরের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্যে গোরক্ষপুর থেকে তিনি ২৭ হাজার টাকায় একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেন।সেই অ্যাম্বুলেন্সে প্রকাশের মৃতদেহ চাপিয়ে নিয়ে তারা শুক্রবার রওনা হন। এদিন জাতীয় সড়কে বর্ধমানের নবাবহাট এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স চালক মারধোর করে কাগজপত্র টাকা পয়সা সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে জোর পূর্বক মৃতদেহ সহ তাদের অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।সকাল দশটা থেকে সারাদিন একই ভাবে রাস্তার ধারে পড়ে রয়েছেন । কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি নি বলে দীপালি সরকার বলেন।
নবাবহাট এলাকার যুবক জিয়াউর রহমান বলেন ,তিনি মৃতদেহ আগলে ভদ্রমহিলাকে পথের ধারে বসে থাকতে দেখেন। কি ঘটনা ঘটেছে জানতে চাইলে মহিলা বলেন, মারধর করে অ্যাম্বুলেন্স চালক জোরপূর্ব মৃতদেহ সহ তাকে রাস্তার ধারৈ নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। এই কথা জানার পর বর্ধমান থানায় বিষয়টি জানিয়েছেন বলে জিয়াউর রহমান বলেন । এলাকার অপর বাসিন্দারা বলেন,
বর্ধমান থানার পুলিশের ব্যবস্থা করে দেওয়া অ্যাম্বলেন্সে দুপুর তিনটে নাগাদ মৃতদেহ চাপিয়ে নিয়ে মহিলা নদীয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন ।।