এইদিন ওয়েবডেস্ক,বর্ধমান,১৯ মে : শনিবার হুগলির গোঘাটে নির্বাচনী জনসভায় ভারত সেবাশ্রম সংঘ, রামকৃষ্ণ মিশন ও ইসকন-এর বিরুদ্ধে বিজেপির পক্ষে ‘ডাইরেক্ট পলিটিক্স’ করার অভিযোগ তুলেছিলেন । মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় সংগঠনের শিষ্যদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে । বিভিন্ন মহল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ‘ডাইরেক্ট পলিটিক্স’ মন্তব্যের বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া সামনে আসছে ।
মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ বলেছেন,’প্রথম কথা মুখ্যমন্ত্রীর মাথা খারাপ হয়ে গেছে, কাকে কি বলছেন ঠিক নাই । উনি মৌলবাদীদের দিয়ে রাজনীতি করাতে পারেন, তাদের সাথে নামাজ পড়ে তাদের ভোট নিতে পারেন, আমাদের সাধু সন্ন্যাসীদের রাজনীতি করা বারণ আছে নাকি? আজ হিন্দু সমাজ বিপন্ন । হিন্দু সমাজের মহিলারা বিপন্ন । সে কথা তারা বলবেন না? সন্ন্যাসীরা সর্বস্ব ছেড়ে এসেছেন ধর্মরক্ষার জন্য। তাহলে তো বলতেই পারেন । আজ যে ধরনের সংস্থা গুলির নাম উনি করেছেন তারা রাজনীতি করে না। তারা মানুষের মধ্যে আধ্যাত্মিকতা জাগান এবং সমাজসেবা করেন । আইলা, আমফান, ভূমিকম্পে এই সমস্ত সাধু সন্ন্যাসেরাই আগে গিয়ে দুর্গত মানুষের সেবা করেছিলেন ।’ তিনি আরও বলেন,’ওনার ক্যাডাররা পয়সা মারতে এসেছে । আর সাধু সন্ন্যাসীরা পিড়ীত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সর্বদা মানবতার সেবা করে আসছেন। উনি যে এই সমস্ত ধার্মিক সংগঠনগুলোর বদনাম করছেন, এর পাপ ওনাকে ডোবাবে ।’
নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পেজে দিলীপ ঘোষ লিখেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর আনুগত্য স্বীকার না করলেই তাদের জন্য বরাদ্দ অপমান, অত্যাচার । তৃণমূলকে সমর্থন করেন না বলে ভারত সেবাশ্রম, ইসকন এবং রামকৃষ্ণ মিশনের সাধু সন্ন্যাসীদের অপমান করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি চান সবাই তাঁর পদানত থাকুন। সেটা না হলেই জুটবে অপমান। হেরে যাওয়ার ভয়ে মাথা ঠিক রাখতে না পেরে এখন মঠ, মিশনকেও ছাড়ছেন না তিনি। সমাজকে মূল্যবোধে বেঁধে আগামী প্রজন্মকে সুন্দর মানুষ গড়ে তোলার দায়িত্ব যাঁরা নিয়েছেন তাঁরাও তৃণমূলের হিংসার শিকার। সাধু মহারাজদের অপমানের এই পাপ তৃণমূলকে ছাড়বে না ।।

