এইদিন ওয়েবডেস্ক,শিলিগুড়ি,০২ মার্চ : বান্ধবীদের সঙ্গে বিরিয়ানি খেতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে খুন হল শিলিগুড়ির এনজিপি থানা এলাকার জ্যোর্তিময় কলোনি এলাকার এক ১৪ বছরের কিশোরী । শিলিগুড়ি উত্তরকন্যার কাছে রাস্তার পাশে একটি জঙ্গল থেকে মেয়েটিকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলে প্রথমে গুজব ছড়ানো হয় বলে অভিযোগ । কিন্তু স্থানীয় এক গৃহবধূ শিলিগুড়ি টাইমসকে বলেছেন, জঙ্গল থেকে মেয়েটিকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করার দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা । বরঞ্চ মঙ্গলবার বিকেল ৫ টা নাগাদ এক প্রতিবেশী কিশোরকে ওই নাবালিকার নিথর দেহ বুকে চেপে ধরে নিয়ে যেতে আমি দেখেছি । মেয়েটির শরীর হলুদ হয়ে গিয়েছিল । ঘাড় নেতিয়ে গিয়েছিল এবং দু’পা কাঠের মত হয়ে গিয়েছিল । মেয়েটির পা ছেঁচড়ে যাচ্ছে দেখে আমিই সোজা করে দিই । তখনই বুঝতে পারি মেয়েটি মারা গেছে ।’ পাশের এক মহিলার কথায়,’কিশোরের গালে আঁচড়ের দাগও ছিল ।’
জানা গেছে,মৃত কিশোরীর বাড়ি ফুলবাড়ি-১ পঞ্চায়েতের শান্তি পাড়া এলাকায় । সে নবম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। বান্ধবীদের সঙ্গে বিরিয়ানি খেতে যাওয়ার কথা বলে মঙ্গলবার দুপুরে সে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল । তারপর সে আর বাড়ি ফেরেনি । এদিকে দীর্ঘক্ষণ মেয়েটি বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবারের লোকজন । সেইসময় মেয়েটির এক বন্ধু তাদের ফোন করে জানায় যে জ্যোর্তিময় কলোনির একটা ঝোপের কাছে মেয়েটিকে অচৈতন্য অবস্থায় পাওয়া গেছে ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে কিশোরীকে নিজের বাড়ি থেকেই বের করেছিল ওই কিশোর । সেই সময় নাবালিকাকে দেখি তারা সন্দেহ করেন যে মেয়েটি মারা গেছে৷ স্থানীয়রা জিজ্ঞাসাবাদ করলে কিশোর দাবি করে যে মেয়েটি নেশা করেছে এবং সে কারণেই সে অচৈতন্য হয়ে পড়েছে। পরে ওই কিশোর ও তার বাড়ির লোকজন মেয়েটিকে একটি ছোট মালবাহী গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় । সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে । কিন্তু চিকিৎসকরা মেয়েটিকে মৃত ঘোষণা করেন । মৃত কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন,মেয়েটিকে যখন নিয়ে আসে, তখন হাত-মুখ সাদা হয়ে গিয়েছে। গলায় একটা দাগও ছিল । তারা ওই কিশোর এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে শিলিগুড়ির এনজিপি থানায় একটা খুনের মামলা দায়ের করেছেন । আজ বুধবার নাবালিকার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে ।।

