এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,০৪ নভেম্বর : সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধে অধিকাংশ ভারতীয় মুসলিমদের মধ্যে একটা স্বাভাবিক প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে । তারা ইসরায়েলিদের বর্বরোচিত নৃশংস হত্যাকান্ড নিয়ে মুখ না খুললেও ফিলিস্থিনের স্বাধীনতার নামে সন্ত্রাসী সংগঠন হামাসকে প্রচ্ছন্ন জুগিয়ে যাচ্ছে । আর ওই দলে নবতম সংযোজন হলে ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার ইরফান পাঠান । শুক্রবার তিনি সোশ্যাল মিডিয়া ‘এক্স’-এ ফিলিস্থিনিদের নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক মহলকে দোষারোপ করে লিখেছেন, ‘প্রতিদিন, গাজায় ০-১০ বছর বয়সী নিষ্পাপ শিশুরা প্রাণ হারাচ্ছে এবং বিশ্ব নীরব। একজন ক্রীড়াবিদ হিসাবে, আমি কেবল কথা বলতে পারি, তবে বিশ্ব নেতাদের একত্রিত হয়ে এই বুদ্ধিহীন হত্যাকাণ্ডের অবসান ঘটানোর সময় এসেছে।’
তবে ইরফান পাঠান গাজায় ফিলিস্থিনি শিশুদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও হামাসের সন্ত্রাসীরা যেসমস্ত ইসরায়েলি শিশুদের গুলি করে,শিরোচ্ছেদ করে অথবা জীবন্ত পুড়িয়ে নির্মমভাবে মুখ খুলেছিল সে বিষয়ে একটা শব্দও তাকে ব্যয় করতে দেখা যায়নি ।
ইরফান পাঠানের এই প্রকার কদর্য মানসিকতার কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাংবাদিক অর্চনা তিওয়ারি । পাকিস্তানের এক হিন্দু মহিলাকে চুল ধরে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়ার একটা ভিডিও পোস্ট করে অর্চনা লিখেছেন,’ইরফান পাঠান, আপনার এ নিয়ে কথা বলার সাহস আছে কি?’
৫,০০০ কিলোমিটার দূরে বসে ফিলিস্তিনিদের নিয়ে উদ্বিগ্ন ইরফান পাঠান কবে প্রতিবেশী পাকিস্তানে হিন্দু নারীদের দুর্দশার কথা বলবেন ?? আপনি কি জু বিয়ার (@zoo_bear) এর মতই আসমাঞ্জ কিতাব পড়েন ?’
পাকিস্তানি হিন্দু ক্রিকেটারও ইরফান পাঠানের টুইটটি রিটুইট করে লিখেছেন,’ইরফান ভাই, আমি খুশি যে আপনি বাচ্চাদের কষ্ট বোঝেন এবং আমি আপনার সাথে আছি। কিন্তু দয়া করে পাকিস্তানি হিন্দুদের কথাও বলুন। পাকিস্তানেও পরিস্থিতি খুব একটা আলাদা নয় ।’।