এইদিন ওয়েবডেস্ক,উত্তরপ্রদেশ,০৪ নভেম্বর : এক বৃদ্ধ, এক যুবক, দুই মহিলা এবং ৫ কিশোর কিশোরী মিলে পরিবারের মোট ৯ সদস্যের একটা ছবি ভাইরাল হয়েছে উত্তরপ্রদেশে । তবে পরিবারের সদস্যদের জন্য নয়,তাদের পিছনের দেওয়ালে টাঙানো একটা ব্যানারের জন্য নজর কেড়েছে সকলের । ব্যানারের একেবারে উপরে বড় হরফে লেখা “পলায়ন”৷ তার নিচে লেখা আছে, ‘মুসলমানদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আমি আমার সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করে চলে যাচ্ছি ।’ একেবারে নিচে দেওয়া আছে তিনটি ফোন নম্বর । ছবিটি শেয়ার করেছেন বিকাশ চৌহান নামে এক এক্স ব্যবহারকারী । তিনি স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকেও ট্যাগ করেছেন । অবশ্য ওই পোস্টের উত্তরও দিয়েছে পুলিশ । জানা গেছে, ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের কুশিনগরের বিশুনপুরা থানা এলাকায়।ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ,’প্রতিবেশী মুসলমানরা তার বাড়িতে আবর্জনা ফেলে। প্রতিবাদ করলে হুমকি দেয় । যদিও পুলিশ একে ড্রেন নিয়ে বিরোধ বলছে।’ বিকাশ চৌহানের পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় কুশিনগর পুলিশ টুইট করেছে,’এই ঘটনায় ড্রেনের জল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়টি মিমাংসা করে। এক্ষেত্রে মাইগ্রেশন সংক্রান্ত কোনো সমস্যা নেই। ঘটনাস্থলে শান্তি বজায় রয়েছে।’
জানা যায়, কুশিনগরের বিশুনপুরা থানা এলাকার বাঁশগাঁও খাস গ্রামের বাসিন্দা সচ্চিদানন্দ পান্ডে শুক্রবার তার বাড়ির বাইরের দেওয়ালে ওই “পলায়ন” ব্যানারটি লাগিয়েছিলেন । বলা হচ্ছে, গ্রাম পঞ্চায়েত সচ্চিদানন্দের বাড়ির সামনে একটি ড্রেন তৈরি করছে। ড্রেনের জল ফেলার জন্য তাদের নিজস্ব জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। তারা এই জমিতে কৃষিকাজ করেন। প্রতিবাদ করলে তাকে হুমকি দেওয়া শুরু হয় । গ্রামের প্রধান প্রতিনিধি জয়নুদ্দিন আনসারির বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী পরিবারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিনি তার কৃষি জমি বাঁচাতে সক্রিয় হলে জয়নুদ্দিন ১১২ ডায়ালে পুলিশকে ফোন করেন। মুসলিম পক্ষ থেকেও তাকে হুমকি দেওয়া শুরু হয়। সচ্চিদানন্দের অভিযোগ, মুসলিম প্রতিবেশীরা তাঁর বাড়ির সামনে আবর্জনা ফেলে দিয়ে পালাচ্ছিল ।
তিনি আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে বললে বিরোধী দল তার সঙ্গে মারপিট করে । সচ্চিদানন্দের মতে, তিনি তার সমস্ত অভিযোগ একাধিকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকদের কাছে পাঠিয়েছেন, কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অবশেষে ক্লান্ত হয়ে সচ্চিদানন্দ তার পুরো পরিবারসহ গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা করেন । এনিয়ে তিনি ব্যানারও লাগিয়েছেন।
ব্যানারটি ভাইরাল হলে নড়েচড়ে বসে কুশিনগর থানার পুলিশ । প্রশাসনিক আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে । কুশিনগর পুলিশ এটিকে ড্রেন বিরোধ বলে দাবি করেছে এবং দাবি করেছে যে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে ।।