এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৬ জুলাই : দেবী কালীকে নিয়ে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রের মন্তব্য প্রসঙ্গে কড়া প্রতিক্রিয়া জানালেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । বুধবার কলকাতায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘কালকে পশ্চিমবঙ্গের একজন কুলাঙ্গার সাংসদ বাঙালীর শক্তির দেবীকে আক্রমণ করেছে । তার রাজনৈতিক দল কি করল সেটা নিয়ে আমি মন্তব্য করবো না । আমি শুধু বলবো পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের যদি সত্যিই অশোকস্তম্ভের প্রতি শ্রদ্ধা থাকে তাহলে নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে তারা যেভাবে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন,লুক আউট নোটিশ পাঠাচ্ছেন, ঠিক সেই ভাবে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিক ।’
এরপর তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ওই নেত্রীর বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যে শয়ে শয়ে এফআইআর শুরু হয়েছে । এইএফআইআরগুলি কার্যকর করতে হবে । আর কার্যকর করার জন্য আমি পুলিশকে ১০ দিন সময় দিলাম । না হলে ১১ দিনের দিন আমরা হাইকোর্টে যাবো ।’
তিনি বলেন, ‘কারন এক যাত্রায় পৃথক ফল হতে পারে না । নূপুর শর্মার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার পুলিশ যা যা করছে মহুয়া মৈত্রের ক্ষেত্রে তার থেকেও বেশি করা উচিৎ । কারন যে কথা বলে তিনি হিন্দু বাঙালিদের ধর্মীয় আস্থায় আঘাত করেছেন তা ক্ষমার অযোগ্য ।’
শুভেন্দু বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু ভাবাবেগে বারবার আঘাত করা হয় । পশ্চিমবঙ্গের সুবোধ সরকার,বিকাশ ভট্টাচার্যরা রাস্তার উপরে দাঁড়িয়ে গরুর মাংস খায় । শিবলিঙ্গকে আঘাত করলে তৃণমূলের যুবনেত্রী হওয়া যায় । এরাজ্যে এটা বারে বারে হয় । কিন্তু এটা এবার থামতে হবে । আগে হিন্দুরা এটা নিয়ে ভাবতো না । আমরা ভাবাচ্ছি ।’
জানা গেছে,দেবী কালীকে নিয়ে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের মন্তব্যে শুধুমাত্র বউবাজার থানায় মোট ৫৬টি অভিযোগপত্র দিয়েছেন বিজেপি মহিলা মোর্চার সদস্যরা ।
অন্যদিকে নিজেকে ‘কালীর উপাসক’ বলে দাবি করে মহুয়া টুইটারে লিখেছেন, ‘আমি একজন কালী উপাসক। আমি কিছুতেই ভয় পাই না। আপনার অজ্ঞতাকে নয়। আপনার গুন্ডা অথবা পুলিশকেও নয়। অবশ্যই আপনার সমালোচনাকে নয় । যে দেবীকে বাঙালি পুজো করে, সেই দেবী নির্ভীক ।’।