এইদিন ওয়েবডেস্ক,নদীয়া,১৩ অক্টোবর : শনিবার বিজয়াদশমীর দিন নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে দুর্গাপ্রতিমার বিসর্জনকে ঘিরে বিতর্কে জড়িয়েছে তৃণমূল শাসিত স্থানীয় পুরসভা কর্তৃপক্ষ । কৃষ্ণনগর পৌরসভার নির্দেশে দুর্গাপ্রতিমাকে মেশিন দিয়ে টুকরো টুকরো করা হয় এবং হাতে করে নামেমাত্র জল ছিটিয়ে বিসর্জন পর্ব মিটিয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে । দেবী প্রতিমাকে কেটে টুকরো টুকরো করার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে । এই প্রকার ঘটনাকে ‘ন্যাক্কারজনক’ আখ্যা দিয়ে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ।
তিনি দেবীদুর্গার প্রতিমা মেশিন দিয়ে কাটার ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন, ‘ছিঃ! ছিঃ! ছিঃ! এই দৃশ্য বাংলাদেশের নয়, এই কীর্তি পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু বিরোধী শাসক তৃণমূল দল পরিচালিত পুরসভার। আগে মা দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন না করে, প্রতিমাকে যন্ত্রের সাহায্যে অসভ্যের মতো ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে নদীতে ফেলা হয়েছে। গতকাল কৃষ্ণনগর কদমতলা ঘাটে কৃষ্ণনগর পৌরসভার নির্দেশে পৌরসভার কর্মচারীরা এভাবেই দুর্গা ঠাকুরের প্রতিমা কে কেটে টুকরো করে ভাসান করেছে। ঠিকঠাক ভাবে শাস্ত্র মতে ভাসান হয়ে যাওয়ার পরে নদী পরিষ্কার রাখার জন্য যা করণীয় সেটা করলে কারুরই কোনো আপত্তি থাকতো না, কিন্তু তা না করে সর্বসমক্ষে এই কান্ড ঘটানোর উদ্দেশ্য কি?’
তিনি আরও লিখেছেন,’এইভাবে সরাসরি সনাতনীদের আস্থায় আঘাত হানা ন্যক্কারজনক। এর আগে রাণাঘাটে ১১২ ফুটের দুর্গাপুজো বন্ধ করেছে তৃণমূলের প্রশাসন, গতকালের এই ঘটনা নবতম সংযোজন। মমতা ব্যানার্জী আর তার প্রশাসন যদি ভেবে থাকে এই ভাবে হিন্দুদের আস্থা এবং বিশ্বাসের উপর আঘাত হানতে থাকবে আর হিন্দুরা সেটা মেনে নেবে, আর সেটা হবে না। আমি সকল হিন্দু ভাই বোনদের কাছে আবেদন করছি আপনারা এবার জাগ্রত হন। এই হিন্দু বিরোধী তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে এবার একত্রিত হয়ে আওয়াজ ওঠানোর সময় এসেছে।’
এদিকে দেবীপ্রতিমাকে টুকরো টুকরো করে কাটার ঘটনায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কার্যত গনরোষের সৃষ্টি হয়েছে । কালীপদ সেনগুপ্ত নামে জনৈক এক ফেসবুক ব্যবহারকারী সেই ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন,’হাতে করে জল ছিটিয়ে বিসর্জন। বিসর্জনের আগেই দেবীদূর্গার মূর্তিকে যন্ত্রের সাহায্যে কেটে কেটে বিসর্জন।ছিঃ! ছিঃ! ছিঃ! এই পাপের ফল আমাদের একদিন পেতেই হবে। এই কীর্তি পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগর পুরসভার অন্তর্গত কদমতলা ঘাটে।’।