এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৯ ডিসেম্বর : সংখ্যাগুরু মুসলিমদের অত্যাচারে সেদেশের বহু হিন্দু পরিবার পালিয়ে এসে ভারতে আশ্রয় নিচ্ছেন । এমনই এক হিন্দু ব্যক্তির সঙ্গে সাংবাদিকদের পরিচয় করিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । বিধানসভার বাইরে ওই ব্যক্তিকে পাশে নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘এনার নাম নিক্সন হালদার । বাংলাদেশের বরিশালের ফিরোজপুরে বাড়ি । এনাকে কেউ ডেকে আনেনি। হিন্দু হওয়ার অপরাধে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে এসে কলকাতার রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে । মমতা ব্যানার্জি যেটা বলছে না… ফেক । ইনি তার উদাহরণ ।’ তিনি বলেন,’এভাবে লাখ খানেক হিন্দুকে ঘরবাড়ি ছাড়তে হয়েছে । ওখানকার যারা হিন্দু আছে তাদের ঘর থেকে বেরুনোর অনুমতি নেই ।’ তিনি বলেন,’মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ফেক । একটাও সত্যি কথা বলে না । বরিশালের হালদার পরিবার… হালদাররা সিডুল কাস্ট.. সবচেয়ে বেশি অত্যাচারিত হচ্ছে জনজাতিরা । আর সবচেয়ে বেশি অত্যাচারিত হচ্ছে নমঃশূদ্র, মতুয়া, হালদার পরিবারগুলো । আমরা এদের পাশে আছি । মোটা ভাত আর মোটা কাপড়ের অসুবিধা হবে না। দরকার হলে বাড়ি খুলে এদেরকে রাখবো ।’
এদিকে আজ সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি৷ তিনি বলেছেন,’বাংলা সবার। ধর্মীয় উন্মাদনার জায়গা এখানে নেই। বাংলাদেশের যে সংখ্যালঘু অত্যাচার চলছে সেটাকে ভালো চোখে দেখছি না। দাঙ্গা কোনও হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান করে না। করে কিছু সমাজ বিরোধী, তারা সমাজের বোঝা।’ পাশাপাশি বাংলাদেশ নিয়ে মন্তব্যে লাগাম টানতে তৎপরতা দেখিয়ে মমতা বলেন,’আমরা যেন এমন মন্তব্য না করি, তাতে সমাজে তার প্রভাব পড়ে, কারও ক্ষতি হয়। আমরা যেন অতিরিক্ত কথা না বলি। যারা বলছেন এটা নিয়ে রাজনীতি করবেন, জেনে রাখুন এতে আপনার রাজ্যের ক্ষতি হবে।’ তিনি বলেন,’আমরা দাঙ্গা চাই না, শান্তি চাই। একটা হিন্দুর গায়ে যে রক্ত আছে, মুসলিমেরও সেই রক্ত আছে।’ পাশাপাশি রাজ্যের বিধায়করা যাতে কোনও বিতর্কিত মন্তব্য না করেন। সাধারণ মানুষদেরও একইভাবে বিতর্কিত মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে বললেন তিনি।।