এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০২ নভেম্বর : ফের রাজ্য পুলিশের এক আধিকারিকের “ঘৃণ্য আচরণ” প্রকাশ্যে আনলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ এবারে তিনি নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার আইসির অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন । তিনি জানিয়েছেন, ওই আধিকারিকের নাম অমলেন্দু বিশ্বাস । শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন,’কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জনের মূহুর্তে হিন্দুদের ওপর অন্যায় নির্যাতন চালানোর সময় কোতোয়ালি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাসের মুখের ভাষা থেকেই বোঝা যায় যে হিন্দুদের কি চোখে দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ প্রশাসন !!!’
ভিডিওতে(যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি।এইদিন) টাক মাথার ওই পুলিশ আধিকারিককে পূণ্যার্থীদের উদ্দেশ্যে বলতে শোনা গেছে,”একটা আওয়াজ বেরুলেই মা# ক্যালাবো” । এছাড়া তাকে “চুতিয়া”, “কুত্তা” র মত শব্দ প্রয়োগ করতে শোনা যায় ।
শুভেন্দু অধিকারী ঘটনার বিবরণ দিয়ে লিখেছেন, ‘কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্যবাহী জগদ্ধাত্রী পুজোতে এ’বছর নবমীর সন্ধ্যা থেকেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে বাঁধভাঙা জনতার ঢল কৃষ্ণনগরের বিভিন্ন মণ্ডপে জনপ্লাবনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। কৃষ্ণনগরের উৎসবমুখর জনতার আবেগ দেখে পুলিশ প্রশাসনের বিসর্জনের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন ছিল।
শুক্রবার সকাল থেকেই কৃষ্ণনগরে শুরু হয় বিসর্জনের উন্মাদনা। সকালে ঘট বিসর্জনের পর সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় প্রতিমা নিরঞ্জন। ঐতিহ্যশালী সাং প্রথা ও কাঁধে করে প্রতিমা নিরঞ্জন করা দেখতে হাই স্ট্রীট চত্বর থেকে রাজবাড়ী পর্যন্ত ব্যাপক ভিড় হয়। যথারীতি পুলিশের ব্যবস্থায় খামতি ছিল যার ফলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।যাই হোক, মানুষের আবেগ কে সম্মান জানিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করা যেতো, কিন্তু মমতা পুলিশের প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে হিন্দুদের ওপর অবাঞ্ছিত, বিবেচনাহীন ও অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করা, বিশেষ করে হিন্দুদের পুজো, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও উৎসবের সময়।’
তিনি লিখেছেন,’কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার অমরনাথ কে. বিসর্জনের জন্যে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও নাগরিক সুরক্ষার আশ্বাস দিলেও পুলিশ ব্যর্থ। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে জনগণ কে লাঠি পেটা করেছে মমতা পুলিশ। অমরনাথ কে. ও অমলেন্দু বিশ্বাস দুজনেরই অদক্ষতা প্রমাণিত ও এদের রেকর্ড হলো প্রাতিষ্ঠানিক তোলাবাজি। জনগণের স্বার্থের থেকে নিজ স্বার্থ এদের কাছে অনেক বেশি অগ্রাধিকার পায়। এই ভাষায় মানুষ কে অপমান করার অধিকার এদের কে দিয়েছে?’

