এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৩ মার্চ : আজ রবিবার সকালে মালদা জেলার চাঁচল লাইব্রেরী গেটের কাছে ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর বেআইনিভাবে নির্মিত এক বেসরকারি বিদ্যালয়ের ওভারহেড বিজ্ঞাপনের গেট ভেঙে দুই বাইক আরোহী গুরুতর যখম হয়েছে । আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর । এই ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূলের স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতে সদস্য অমিতেষ পান্ডেকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ক্ষিপ্ত জনতা। সেই খবর সংগ্রহ করতে গেলে একটি বাংলা নিউজ চ্যানেলের সাংবাদিক অভিষেক সাহাকে ধাক্কাধাক্কি, গালিগালাজ ও হুমকি দেয় চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য অমিতেষ পান্ডে । সাংবাদিককে হেনস্থা করে উপপ্রধান মোক্তার হোসেন৷ এদিকে সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনার পর রাজ্যের শাসকদলকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে৷ রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছেন । এবারে হামলাকারী ২ তৃণমূল নেতার পাশাপাশি মালদা জেলার পুলিশ সুপারকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ।
তিনি সাংবাদিকের উপর হামলার ভিডিও এক্স-এ শেয়ার করে লিখেছেন,’মালদা জেলার চাঁচলে তৃণমূল নেতাদের নির্লজ্জ গুন্ডামি এবং নির্যাতনের দিকে একবার তাকান, তাও পুলিশের সামনে। মুক্তার হোসেন; তৃণমূল কংগ্রেসের উপ-প্রধান এবং অমিতেশ পান্ডে; গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য কলকাতা সংবাদ সাংবাদিককে হয়রানি ও লাঞ্ছিত করেছেন; ক্যামেরার সামনে শ্রী অভিষেক সাহা।’
শুভেন্দু অধিকারী আরও লিখেছেন,’অভিষেকের দোষ ছিল যে তিনি কেবল তার কাজ করছিলেন এবং রাস্তায় একটি গেট তৈরির অনুমতি সম্পর্কে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছিলেন, যা ভেঙে পড়েছিল এবং মানুষ আহত হয়েছিল। তার প্রশ্নে অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন এবং তাকে শারীরিকভাবে আক্রমণ করেন। সেখানে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা সাংবাদিককে রক্ষা করার জন্য কিছুই করেননি। আমি কেবল কলকাতা সংবাদপত্রের সাংবাদিক অভিষেক সাহার উপর হামলার নিন্দা করি না, বরং মালদা পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার শ্রী প্রদীপ কুমার যাদব (আইপিএস) কে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য অনুরোধ করতে চাই। সাংবাদিকদের উপর আক্রমণ করা তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের একটি সাধারণ অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তাদের বুঝতে হবে যে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ তাদের পাঞ্চিং ব্যাগ নয়।’।