এইদিন ওয়েবডেস্ক,জলপাইগুড়ি,২৯ সেপ্টেম্বর : পুজোর বোনাসের দাবিতে আন্দোলনকারী চা বাগানের শ্রমিকদের উপর পুলিশের বর্বরতার স্বাক্ষী থাকলো জলপাইগুড়ি জেলা । অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি দিতে দিতে লাঠি হাতে মহিলাদের ধাওয়া করতে দেখা গেছে পুলিশকে৷ তার কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে । জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা বিধানসভায় মেটেলী ব্লকের কিলকোট চা বাগানের শ্রমিকদের উপর পুলিশের এই প্রকার ন্যাক্কারজনক আচরণের মুহুর্তের ভিডিও পোস্ট করে নিন্দায় সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ।
বিরোধী দলনেতা ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে লিখেছেন,’জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা বিধানসভায় মেটেলী ব্লকের কিলকোট চা বাগানের চা শ্রমিকরা পুজোর বোনাসের দাবিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করছিলেন। হঠাৎ ই বিনা প্ররোচনায় পুলিশ আধিকারিক মুস্তাক এর নেতৃত্বে মমতা পুলিশের বাহিনী নিরস্ত্র চা শ্রমিকদের উপর নির্মম ভাবে লাঠিচার্জ করা শুরু করে। পুলিশ আধিকারিক মুস্তাক চা শ্রমিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। বেশ কয়েকজন চা শ্রমিক পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত হন।’
তিনি আরও লিখেছেন,’মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অপশাসনে রাজ্যে চা শ্রমিকরা বরাবরই বঞ্চিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গে গিয়ে চা শ্রমিকদের জন্য ঢালাও প্রতিশ্রুতি দিলেও, চা শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য পাওনা টুকুও পান না। এমনিতেই বেশিরভাগ চা বাগান বন্ধ, যে’কটা চা বাগান খোলা রয়েছে সেখানে চা শ্রমিকদের ন্যুনতম পরিষেবাটুকু ও নেই, তাদের নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর মতো অবস্থা। এমতাবস্থায় চা শ্রমিকরা যদি তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন বা আন্দোলন করতে যান তারও উপায় নেই, কপালে জোটে মমতার দলদাস পুলিশের গালিগালাজ আর লাঠিপেটা। এই সরকারটাকে রাজনৈতিক ভাবে উপড়ে ফেলতেই হবে, তবেই এই অপশাসন থেকে মুক্তি পাবে রাজ্যের শ্রমিক থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষ তথা রাজ্যবাসী।’
এর আগে গত শুক্রবারে জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার নাগেশ্বরী চা বাগানের শ্রমিকরা ২০ শতাংশ বোনাসের দাবিতে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান । বিক্ষোভে সামিল হন নাগরাকাটার বিধায়ক পুনা ভেংরা। প্রায় দু’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে মেটেলি থেকে চালসাগামী আইভিল মোড় এলাকায় অবরোধ চলে৷ আলিপুরদুয়ারের সাংসদ মনোজ টিজ্ঞা চা বাগানের শ্রমিকদের এই আন্দোলনকে সমর্থন জানান ।।