এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২১ অক্টোবর : কালীপূজোর সময় তুফানগঞ্জে “জিহাদি” ও উলুবেড়িয়ায় পুলিশের হামলার অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তিনি এক্স-এ একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন । যদিও ওই ভিডিও- এর সত্যতা যাচাই করেনি এইদিন ।
ভিডিও পোস্ট করে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,
ঘটনা :- ১
কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ বিধানসভার শালবাড়ি- ১নং অঞ্চলের অন্তর্গত বাঁশরাজা ব্রিজের পাড় কালী মন্দিরে বিনা প্ররোচনায় অতর্কিতভাবে একদল জেহাদি আক্রমণ করে, পুজো কমিটির সদস্যরা বাধা দিতে গেলে পুজো কমিটির সদস্যদের উপর চড়াও হয় জেহাদির দল।
ঘটনা :- ২
উলুবেড়িয়া উওর বিধানসভার ১নং মণ্ডল-এর ছোটোমহড়া গ্রামের পশ্চিম পাড়া করলীতলার কালী পুজোয় হঠাৎ করে আমতা থানা থেকে এক গাড়ি পুলিশ এসে একটি মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকার ছেলেদের অমানুষিকভাবে মারধর করে যে কারণে বেশ কয়েকজন ছেলে গুরুতর আহত হয়। সিসিটিভি ফুটেজে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে থানার আইসি অমলেন্দু দাস বেপরোয়া ভাবে একটা ছেলের উপর লাঠিচার্জ করছেন এবং লাঠিটা তার মুখে ঢুকিয়ে দিয়েছেন। পরবর্তীকালে আমতা থানার ওসি মফিজুল আলম এসে কেসটাকে ধামাচাপ দেবার চেষ্টা করে।
এরপর তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে নিশানা করে লিখেছেন,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে পশ্চিমবঙ্গকে এখন পশ্চিম বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত চলছে। হিন্দুরা শান্তিতে তাদের নিজেদের ধর্মটুকুও পালন করতে পারছেন না। যে কোনো পুজো অনুষ্ঠানে হয় জেহাদি হামলা, নয় পুলিশি অত্যাচার এই এখন পশ্চিমবঙ্গের ছবি। এরাজ্যে সরস্বতী পুজো থেকে দুর্গাপূজো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। আর এই সব কিছুই ঘটছে শাসকের অঙ্গুলিহেলনে। শাসকের ভোটব্যাংকের রাজনীতি, তোষণের রাজনীতি। হিন্দুদের বাঁচার এখন একটাই উপায়, এই সরকারটিকে গণতান্ত্রিক উপায়ে বিদায় জানানো, নচেৎ আগামীদিন হিন্দুদের জন্যে ভয়ঙ্কর হতে চলেছে।
তুফানগঞ্জের ঘটনার একই ভিডিও পোস্ট করে প্রসঙ্গে দীপক দাস নামে স্থানীয় এক বিজেপি কর্মী ফেসবুকে লিখেছেন,’কালীপূজার মন্ডপ, মা কালীর মূর্তি ভাঙতে পৌঁছে যাচ্ছে জিহাদিরা ! তৃণমূলের শাসনামলে জিহাদিরা পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ ভাবা শুরু করে দিয়েছে!মমতার দুধেল কদর আলী তার দলবল নিয়ে কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ বিধানসভার শালবাড়ি-১ নং অঞ্চলের অন্তর্গত বাঁশরাজা ব্রিজের পাড় কালীপূজার মন্ডপ অতর্কিতে ভাঙতে আসে। পূজা কমিটির সদস্যরা বাধা দিতে গেলে তাদের উপর চড়াও হয় মূর্তি পূজার বিরোধী জিহাদি কদর আলী ও তার দলবল।’ যদিও দুটি ঘটনারই সত্যতা যাচাই করেনি এইদিন৷ এনিয়ে থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট করেননি বিরোধী দলনেতা ।।