এইদিন ওয়েবডেস্ক,নোয়াখালী,২৪ মার্চ : বাংলাদেশের নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় সাত বছরের এক মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার তাকে আদালতে তোলা হলে কারাগারে পাঠিয়েছেন বিচারক। গ্রেপ্তার রেজাউল করিম বাদশা (২২) উপজেলার নদনা ইউনিয়নের উত্তর শাকতলা গ্রামের মহম্মদ ফয়েজের ছেলে। বাদশা ওই গ্রামে রকমারি সামগ্রীর দোকান চালায় । নির্যাতিতা শিশুটির বাড়ি নদনা ইউনিয়নে এবং স্থানীয় একটি মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। ঘটনার পর তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালে থাকা শিশুটির মা জানিয়েছেন, শনিবার বিকেলে তার মেয়ে বাড়ির পাশের দোকানে দই কিনতে যায়। দীর্ঘক্ষণ পর মেয়ে বিধ্বস্ত অবস্থায় ফিরতে দেখে মা কোলে নিয়ে দেখেন তার শরীরে ব্লেড দিয়ে কাটার মতো জখম এবং সেখান থেকে রক্ত বের হচ্ছে। পরে শিশুটি জানায়, দোকানের শাটার নামিয়ে বাদশা তাকে নির্যাতন করে। তাৎক্ষণিক ভানে বিষয়টি নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে জানিয়ে করে শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মামুন মোস্তাফিজ বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ নিয়ে সাত বছরের শিশুটিকে অসুস্থ অবস্থায় জরুরি বিভাগে আনা হলে তাৎক্ষণিক তাকে ভর্তি করে ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। ওয়ার্ডে তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, ‘সোমবার সকালে নিজ বাড়ি থেকে বাদশাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দুপুরে তাকে জেলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির ওসি আরও বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় শিশুটির মা থানায় মামলা করলে অভিযুক্ত রেজাউল করিম বাদশাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।’ হলে বিচারক জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।’
এদিকে সোমবার সকালে নোয়াখালী নারী অধিকার জোটের আহ্বায়ক রৌশন আক্তার লাকির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল হাসপাতালে শিশুটিকে দেখতে যায় । তারা শিশুটির চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং এ ঘটনার শিশুটির পরিবারকে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন। এ সময় নোয়াখালী নারী অধিকার জোটের সদস্য অ্যাডভোকেট কল্পনা রানী দাস, নাছিমা মুন্নি, নুরজাহান রীনি ও সাহেদা পারভীন উপস্থিত ছিল।।
