শেখ হাসিনাকে অনৈতিকভাবে উৎখাত করে বাংলাদেশের কট্টরপন্থী ইসলামি গোষ্ঠীগুলির ক্ষমতা কুক্ষিগত করা মেনে নিতে পারেনি অনেকে । মহম্মদ ইউনূসকে সামনে রেখে ইসলামপন্থী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলি ক্রমশ সক্রিয় হয়ে উঠছে৷ যাতে শুধু খোদ বাংলাদেশ বা ভারতের জন্য নয়,সমগ্র এশিয়ার জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে দেশটি । এমতাবস্থায় কোনো রকমভাবে নির্বাচন করে ওই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলি ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাসবাদকে বৈধতা দিতে চাইছে । আগামী বছর ফেব্রুয়ারী মাসে সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করেছেন ইউনূস । এদিকে শেখ হাসিনার ছেলে ও প্রাক্তন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন যে কোনো রকমেই বাংলাদেশের এই নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না । প্রয়োজনে সহিংস আন্দোলন শুরু হবে । ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচন বন্ধ করতে আন্দোলনে নামবে এবং সেই আন্দোলন ঢাকায় হিংসায় রূপ নিতে পারে।
তার এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে, যখন বাংলাদেশের নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ আশঙ্কা প্রকাশ করছেন—পরিকল্পিত হিংসা, অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলার মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হতে পারে। তাঁদের মতে, সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা, হামলার অভিযোগ ও নাশকতার আশঙ্কা দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের ঝুঁকির ইঙ্গিত দিচ্ছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, এর মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবেই শরীফ ওসমান হাদীকে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে। এছাড়াও, আরও বড় ধরনের হামলার আশঙ্কা রয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য বর্তমানে সবচেয়ে বড় হুমকি হলো আওয়ামী লীগ ও তাদের লুকিয়ে থাকা তাদের সহোযোগীরা ।
সাক্ষাৎকারে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, “এই মুহূর্তে আমাদের লক্ষ্য হলো নির্বাচন বন্ধ করা।” তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবে এবং রাজধানী ঢাকাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠতে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।তিনি আরও দাবি করেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নির্বাচন আয়োজনকে কেন্দ্র করে যে বাস্তবতা তৈরি হয়েছে, তাতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের সম্ভাবনা কম। জয় বলেন, “আওয়ামী লীগ নির্বাচন বন্ধ করতে প্রতিবাদ করবে এবং সেটি ঢাকায় হিংসায় রূপ নেবে।”
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিরোধী দলগুলো জয়ের মন্তব্যকে পরিকল্পিতভাবে নির্বাচন বানচালের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছে এবং এটিকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য হুমকি বলে আখ্যা দিচ্ছে।রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্যের এমন প্রকাশ্য মন্তব্য নির্বাচনের আগের মুহূর্তে পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে। তাঁদের মতে, এই ধরনের বক্তব্য প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য বাড়তি চাপ ও চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।
এদিকে, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জয়ের বক্তব্য নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যা বা অবস্থান দেওয়া হয়নি। তবে দলটির একাধিক নেতার দাবি, নির্বাচন নিয়ে চলমান সংকটের জন্য সরকার ও প্রশাসনের ভূমিকাই দায়ী।।

