• Blog
  • Home
  • Privacy Policy
Eidin-Bengali News Portal
  • প্রচ্ছদ
  • রাজ্যের খবর
    • কলকাতা
    • জেলার খবর
  • দেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলার খবর
  • বিনোদন
  • রকমারি খবর
  • ব্লগ
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • রাজ্যের খবর
    • কলকাতা
    • জেলার খবর
  • দেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলার খবর
  • বিনোদন
  • রকমারি খবর
  • ব্লগ
No Result
View All Result
Eidin-Bengali News Portal
No Result
View All Result

সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানের সন্ত্রাসের রাজত্ব ফিরিয়ে এনেছে   বর্ধমানের জামালপুরের শেখ ফিরোজ !  

Eidin by Eidin
August 24, 2025
in জেলার খবর, রাজ্যের খবর
সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানের সন্ত্রাসের রাজত্ব ফিরিয়ে এনেছে   বর্ধমানের জামালপুরের শেখ ফিরোজ !  
5
SHARES
69
VIEWS
Share on FacebookShare on TwitterShare on Whatsapp

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৪ আগস্ট : উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালির নাম গোটা বিশ্ব জানে । সৌজন্যে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা শেখ শাহজাহান । বিরোধী রাজনীতি করায় খুন, পিঠে বানানোর নাম করে এলাকার সুন্দরী মেয়েদের পার্টি অফিসে ডেকে এনে সামুহিক দুষ্কর্ম্ম, কৃষকদের জমি জোর করে দখল করে চিংড়ি মাছের ভেড়ি বানানো….এলাকার ত্রাস শেখ শাহজাহানের সেই সমস্ত হাড়হিম করা সন্ত্রাসের কথা ভেবে আজও সন্দেশখালির মানুষ রাতের ঘুমের মধ্যে চমকে ওঠে । আজ শাহজাহান জেলে ৷ তাই এখন অনেক শান্ত সন্দেশখালি । কিন্তু শাহজাহান জেলে থাকলেও আজও তার পরম্পরাকে টিকিয়ে রেখে দিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুরের বেরুগ্রাম অঞ্চলের তৃণমূল নেতা শেখ ফিরোজ । 

শাহজাহানের মতোই সন্ত্রাস,অত্যাচার,জুলুমবাজি চালানোর অভিযোগ উঠেছে শেখ ফিরোজের বিরুদ্ধে । গর্জে উঠেছেন জামালপুরের বেরুগ্রাম অঞ্চলের বাসিন্দারা ।তাঁদের অভিযোগ,’নিজেকে  রাজ্যের প্রভাবশালী নেতা,বিধায়ক, সাংসদ ও  মন্ত্রীদের ঘনিষ্ট বলে দাবি করা শেখ ফিরোজের সন্ত্রাস ’তালিবানি’ সন্ত্রাসকেও হার মানিয়ে দিয়েছে’। 

তৃণমূল কংংগ্রেস নেতা শেখ ফিরোজের বাড়ি বেড়ুগ্রাম অঞ্চলের চক্ষণজাদি গ্রামে।এলাকার বাসিন্দাদের কথা অনুযায়ী,“কোনরকমে প্রাথমিক স্তরের গণ্ডী পার হওয়া শেখ ফিরোজ,বড় কোন পদে থাকা তৃণমূল নেতা নয়।তবে তাঁর স্ত্রী হাসনারা বেগম ২০১৮ সাল থেকে একটানা বেরুগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পদে অধিষ্ঠিত রয়ে আছেন’। গ্রামবাসীদের অভিযোগ,’স্ত্রী পঞ্চায়েত প্রধান হওয়ার পর থেকেই ফিরোজ নিজেকে বেরুগ্রাম অঞ্চলের ’বেতাজ বাদশা’ প্রতিপন্ন করা শুরু করে দেন। তারই সাথে তিনি তাঁর বাহিনী নিয়ে এলাকায় সন্ত্রাস কায়েম করা ও অত্যাচার চালানো শুরু করেন। ২১শের বিধানসভা ভোটে জিতে তৃণমূল দল ফের রাজ্যে ক্ষমতায় আসলে ফিরোজ আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। সময় গড়ানোর সাথে সাথে ফিরোজের সন্ত্রাস ও অত্যাচার সব সীমা ছাড়ায়।এমনকি মহিলা নিয়ে ’ফুর্তি’ করার ব্যাপারেও ফিরোজ পিছুপা থাকেননি বলে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন। 

এসব নিয়েই ফিরোজের বিরুদ্ধে এখন তৈরি হয়েছে তীব্র জনরোষ।শাহজাহানের মতো শেখ ফিরোজকেও ’জেলে বন্দি’ করার দাবিতে এখন  এককাট্টা হয়েছেন বেরুগ্রাম অঞ্চলের চক্ষণজাদী,চককৃষ্ণপুর, শম্ভুপুর,জামুদহ সহ একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা।তার জন্য তাঁরা জেলার পুলিশ সুপারের কাছেও সেই আর্জি কথা জানিয়েছেন। তার সাথে সাথে তাঁরা সন্দেশখালির ন্যায় আন্দোলনেও একপ্রকার শুরু করে দিয়েছেন। 

 পুলিশ সুপারকে বেরুগ্রাম অঞ্চলের বাসিন্দারা জানিয়েছেন,’সন্ত্রাস,অত্যাচার ও লুটপাট চালিয়ে সেখ ফিরোজ প্রভূত অর্থ, ধন- দৌলত ও সম্পত্তির অধিকারী বনে গিয়েছেন। অর্থ বলে বলিয়ান হয়ে যাওয়ায় ফিরোজ দেশের আইন কানুন,প্রশাসন,কোন কিছুকেই তোয়ক্কা করেন না’।   গ্রামবাসী জহিদ মল্লিক,ওসমান মল্লিক ও সফিউর রহমান চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘বর্গাদারের জমি কেড়ে নেওয়া থেকে শুরু করে চক্ষণজাদী গ্রামের মসজিদ ও স্কুলের সম্পত্তি পর্যন্ত ফিরোজ জবর দখল করে নিয়েছে। মসজিদ তহবিলের অর্থ হাতিয়ে নিতে ও মসজিদের জমিতে ’জিম সেন্টার’ গড়ে তুলতেও ফিরোজ কুন্ঠাবোধ করেননি।’ 

গ্রামবাসীদের আরো অভিযোগ,ফিরোজ শুধুমাত্র স্কুল ও মসজিদের জমি দখল করেই খান্ত থাকে নি ।এলাকার বাসিন্দা বাদল মল্লিক,রফিক উদ্দিন মল্লিক ও জামাল উদ্দিন মল্লিকরা জানান,’নিরীহ গ্রামবাসীদের ছাড়াও ক্যানসার আক্রান্ত গ্রামবাসী শাহ আলম মল্লিক ও তার ভাইদেরকেও ফিরোজ রেহাই দেয়নি। তাদের জমিজমাও ফিরোজ জোর জবরদস্তি দখল করে নিয়েছে।কারুর হাতে সামান্য কিছু অর্থ ধরিয়ে দিয়ে,আবার কাউকে কোন অর্থ না দিয়েই তাদের জমিজমা, ফিরোজ নিজের নামে তিনি লিখিয়ে নিয়েছেন“।এলাকার অনেক ব্যবসায়ীও ফিরোজের সন্ত্রাস ও জুলুমবাজির শিকার হয়ে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।কাজ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়েও ফিরোজ অনেকের কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়েছে বলে গ্রামবাসীরা পুঢ়িশ ও প্রশাসনকে জানিয়েছেন’।এহেন তৃণমূল নেতা শেখ ফিরোজের বিরুদ্ধে কি আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তা জানতে জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাসকে একাধীকবার ফোন করা হয় ।কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ না করায় কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।

যদিও শেখ ফিরোজ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। ফিরোজ জনিয়েছেন,বেরুগ্রাম অঞ্চল তণমূলের সভাপতি শেখ সাহাবুদ্দিন ওরফে দানি ২০১৩ সালের আগে গ্রামে গ্রামে ঘুরে কাঁচ ভাঙা,লোহা ভাঙা কিনতেন।তখন কোন রকমে ওদের দিন চলতো।২০১৩ সালে তৃণমূল কংগ্রেস দলে যোগ দিয়ে ওই দানি নানা অনৈতিক উপায়ে অর্থ রোজগার করা শুরু করে।দামোদরে অবৈধ খাদান খুলে বালি চুরি করাতেও দানি হাত পাকিয়ে ফেলে। লুটের সাম্রাজ্য চালিয়েই দানি এখন কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি, গাড়ি ও  বাড়ির মালিক হয়ে গিয়েছে। ফিরোজ এও বলেন , দানির নানা অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ আমি করেছিলাম। তার বদলা নিতে দানি পরিকল্পনা করে এলাকার লোকজনকে আমার বিরুদ্ধে খেপিয়ে তোলে। তাদেরকে দিয়েই দানি আমার বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে মিথ্যা অভিযোগ জমা করিয়েছে। কারুর জমি,বাড়ি ,সম্পত্তি কেড়ে নেননি বলে শেখ ফিরোজ দাবি করেছেন ।

বেরুগ্রাম আঞ্চলের তৃণমূলের সভাপতি শেখ সাহাবুদ্দিন আবশ্য ফিরোজের এইসব বক্তব্যকে চোরের বড় গলা বলে কটাক্ষ করেছেন।পাশাপাশি ফিরোজের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে সাহাবুদ্দিন  বলেন,’ওর সব অন্যায় ও অপকর্মের কথা আমি দলের জেলা ও ব্লক সভাপতিকে জানিয়ে দিয়েছি’।তা নিয়ে ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মেহেমুদ খাঁণকে ফোন করাহলে তিনি বলেন,“আমি  গ্রামবাসীদেরকে পুলিশের কাছে গিয়ে ফিরোজের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে বলে ছিলাম।গ্রামের বাসিন্দাদের সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেটা পুলিশ’ই বলতে পারবে“। আর দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের  বক্তব্য ,’’বেরুগ্রামের ঘটনা বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমাকে খোঁজ নিয়ে জানতে হবে।তবে যেসব অভিযোগের কথা শুনছি তা সত্য  হলে দল নিশ্চই ব্যবস্থা নেবে। 

এদিকে শাসক নেতার সন্ত্রাস ও অত্যাচার নিয়ে জামালপুরের বেরুগ্রাম অঞ্চলের মানুষজনের সন্দেশখালির কায়দায় গর্জে ওঠার খবর চাউর হতেই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড় গিয়েছে। জেলা বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন,তৃণমূলের রাজত্বে গোটা বাংলাই এখন সন্দেশখালি। আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি,জামালপুরের বেরুগ্রাম অঞ্চলকে সন্দেশখালি বানানোর নেপথ্য কারিগর শুধু একা ফিরোজ নয়। বেরুগ্রাম অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি দানি সহ ব্লক তৃণমূলের দায়িত্বে থাকা নেতারাও সমান দোষী। বেরুগ্রাম অঞ্চলে চলা নৈরাজ্য নিয়ে ব্লকের পূর্বতন পঞ্চায়েত বোর্ডের  অনেক জনপ্রতিনিধি ২০২২সালের আগষ্ট মাসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও জেলার পুলিশ সুপারের দফতরে লিখিত ভাবে জানিয়ে ছিলেন।তখন যদি প্রশাসন ব্যবস্থা নিত তাহলে বেরুগ্রাম অঞ্চল আজ আর হয়তো সন্দেশখালির রুপ নিত না’।। 

Previous Post

সিঁদুর-শাঁখাপলা পরে কীর্তনের অনুষ্ঠানে ঢুকে গহনা ছিনতাই করতে এসে পাকড়াও শামসুন্নাহান বেগম- লিপি আক্তার ও রোজিনা খাতুন

Next Post

দুর্ঘটনায় মারা গেলেন  ও কাশ্মীরের ক্রিকেটার ফরিদ খান 

Next Post
দুর্ঘটনায় মারা গেলেন  ও কাশ্মীরের ক্রিকেটার ফরিদ খান 

দুর্ঘটনায় মারা গেলেন  ও কাশ্মীরের ক্রিকেটার ফরিদ খান 

No Result
View All Result

Recent Posts

  • উদয়পুরে চলন্ত গাড়িতে আইটি কোম্পানির ম্যানেজারকে গণধর্ষণ 
  • পর পর ৪ বাড়িতে চুরির ঘটনায় ধৃত দুষ্কৃতীকে জেরা করে “নদীয়ার গ্যাং” সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেলো কাটোয়া থানার পুলিশ
  • “বাংলাদেশের মুসলিমরা যদি বাবরি মসজিদের জন্য টাকা পাঠাতে পারে তাহলে আমরাও  দিপু দাসের পরিবারেকে অর্থ সাহায্য করবো” : বললেন শুভেন্দু অধিকারী 
  • মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন বাংলাদেশের আলেম রফিক উল্লাহ আফসারী
  • চাঁচল বউদিকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার দেওর জিয়ারুল হক
  • প্রচ্ছদ
  • রাজ্যের খবর
  • দেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলার খবর
  • বিনোদন
  • রকমারি খবর
  • ব্লগ

© 2023 Eidin all rights reserved.

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • রাজ্যের খবর
    • কলকাতা
    • জেলার খবর
  • দেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • খেলার খবর
  • বিনোদন
  • রকমারি খবর
  • ব্লগ

© 2023 Eidin all rights reserved.