দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),২৩ এপ্রিল : রাজ্যের অনান্য হাসপাতালের মতই পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের রোগীদের চাদর,কম্বল প্রভৃতি কাচার জন্য একটি সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছে । প্রতিদিন সেই সমস্ত নোংরা সামগ্রী সংগ্রেহের সুবিধার্থে তিন তলা বিশিষ্ট হাসপাতালে বছর তিনেক আগে বসানো হয়েছে টিনের পাত দিয়ে তৈরি ‘ওয়াশ ট্যানেল’ । রোগীর ব্যবহৃত জিনিসপত্র থেকে যাতে রোগজীবাণু ছড়াতে না পারে তাই হাসপাতালের পিছন দিকে লাগানো হয়েছে ওই ট্যানেলটি । সংস্থার কর্মীরা প্রতিদিন হাসপাতাল ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে ট্যানেলের মুখ থেকে রোগীর ব্যবহৃত সামগ্রী সংগ্রহ করে নিয়ে যায় । কিন্তু ওই ট্যানেলটিকেই এতদিন রোগীদের বিভিন্ন সামগ্রী পাচারের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল হাসপাতালের কয়েকজন কর্মী । শেষ পর্যন্ত শনিবার কাটোয়া হাসপাতালের রোগীকল্যান সমিতির কর্মী চণ্ডীচড়ন মুখোপাধ্যায়ের নজরে পড়লে বমাল ধরা পড়ে যায় পাচারে যুক্ত ৩ চোর । পুলিশ এই ঘটনায় হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মী শ্রীলক্ষী হাজরা, আয়া রীনা সরকার এবং কাওসর শেখ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে ।
জানা গেছে,এদিন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ হাসপাতালের পিছনের রাস্তা দিয়ে আসার সময় হাসপাতালের রোগীকল্যান সমিতির কর্মী চণ্ডীচড়ন মুখোপাধ্যায়ের নজরে পড়ে যায় কাওসর শেখ নামে ওই ব্যক্তি ট্যানেলের মুখ থেকে কি সব সংগ্রহ করছে । সন্দেহ হওয়ায় তার কাছে গিয়ে তিনি দেখতে পান অপরিষ্কার চাদর,কম্বলের সঙ্গে আসছে সিল করা স্যালাইনের বোতল । এমনকি নতুন চাদর,কম্বল পর্যন্ত ট্যানেল থেকে বেড়িয়ে আসতে দেখেন তিনি । আর এরপরেই হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের এনিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন চণ্ডীচড়নবাবু । এরপর পুলিশ গিয়ে কাওসর শেখ,শ্রীলক্ষী হাজরা এবং রীনা সরকারকে হাতে নাতে ধরে ফেলে ।
এই বিষয়ে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের সুপার সৌভিক আলম বলেন,’বেশ কিছুদিন ধরেই শুনছিলাম রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর নাকি টান পড়ছে । কিন্তু ওই সমস্ত পর্যাপ্ত পরিমান সরবরাহ করা হত সরকারিভাবে । এদিন চুরির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর টান পড়ার আসল কারন বুঝতে পারছি ।’ তিনি জানিয়েছেন,এনিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে ।।