এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৭ আগস্ট : মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির অনুপ্রবেশকারীদের প্রতি প্রেম দেখে তাকে “রোহিঙ্গাদের খালা” বলে অভিহিত করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । আজ বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অনুপ্রবেশকারীদের নতুন সম্পর্ক ঠিক করে দিলেন তিনি । কলকাতার যাদবপুরে দলীয় কর্মসূচি ‘কন্যা সুরক্ষা যাত্রা’য় অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ‘ভাষা আন্দোলন’কে কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘বাংলায় কথা বলতে বলতে প্রশান্ত সুরের বাবা নগেন্দ্র সুরকে খুন করেছিল। সাদ শেখও বাংলায় কথা বলেছে,আনসারুল বাংলার জঙ্গি । এখানে মাদ্রাসা তৈরি করে এবং মুর্শিদাবাদের হরিহর পাড়ায় ছিল । আমরা যে জায়গায় এখন বসে আছি সেটি উদ্বাস্তুদের জায়গা । পরবর্তীকালে তারা প্লট পেয়ে বসবাস করছেন । তাদের জিজ্ঞেস করবেন তো তাদের যখন তাড়িয়ে ছিল কোন ভাষায় কথা বলতে বলতে তাড়িয়ে ছিল ?’
তিনি মুখ্যমন্ত্রীর ভাষা আন্দোলন প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘হিন্দুদের ভাগ করার জন্য এটা মমতা ব্যানার্জির ছলা কলা । আর প্রত্যেকটা বাঙালি জানে যে মমতা বাঙ্গালীদের সর্বনাশের মূলে । আমি সেই কারণে ওনাকে ছেড়ে পাঁচ বছর আগে এই লড়াইয়ে নেমেছি । বাংলার মেধাকে শেষ করেছেন, বাংলার শিল্পকে শেষ করেছেন, বাংলার কৃষ্টিকে শেষ করেছেন । একজন অহংকারী মুখ্যমন্ত্রী । উনি যে ভাষায় কবিতাগুলো লেখেন সেটা কি বাংলা ভাষা ? এপাং ওপাং ঝপাং । হাম্বা রাম্বা খাম্বা । ওনার যে কবিতার বই, বাংলা ভাষার দফারফা করে দিয়েছে । বাংলা ভাষা জানেন কিনা সেটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে । যদি সেটা জানতেন তাহলে নিজের গলার উত্তরীয় খুলে পুলিশকে দিয়ে বিদ্যাসাগরের গলায় পরাতেন না । যদি বাংলা জানতে তাহলে ৪৭ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মারা গিয়েছিল বলতেন না । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৪১ সালে মারা গিয়েছিলেন । অতএব এই মুখ্যমন্ত্রী বাঙালির সর্বনাশের মূলে । বাঙালি ঐক্যবদ্ধভাবে এই মুখ্যমন্ত্রীকে ছড়াবে । ইনি রোহিঙ্গাদের খালা আর বাংলাদেশী মুসলমানদের আপা ।’
আগামী ৯ই আগস্ট নবান্ন অভিযান সম্পর্কে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন,’অভয়ার বাবা মা সিপিএম অফিসে গেছে, মুখ খোলেনি । কংগ্রেসের অফিসে গেছে, মুখ খোলেনি । তৃণমূলকে তো ডাকবেই না, কারণ ওদের বিরুদ্ধেই লড়াই । আমাদের দলের রাজ্য সভাপতি শমিক ভট্টাচার্য প্রথমেই বলে দিয়েছেন যে বিজেপি সর্বাত্মকভাবে অংশগ্রহণ করবে । আমি তো প্রথমেই বলে দিয়েছিলাম যে আমি থাকবো ।’
শুভেন্দু অধিকারী বলেন,’কেউ ব্যারিকেড ভেঙে নবান্নের চেয়ার দখলের জন্য যাচ্ছে না । অভয়ার বাবা ও মা সামনে থাকবেন, জনতা পিছনে থাকবে ।অভয়ার বাবা নেতৃত্ব দেবেন আর আমরা সকলে তার সেই নির্দেশ পালন করব । পুলিশ যদি বল প্রয়োগ করে করবে । গতবারের ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানে পুলিশ আক্রমণ করেছিল । এবারও যদি পুলিশ জলকামান, টিয়ার গ্যাস ছোড়ে ছুড়বে । অভয়ার বাবা-মায়ের একটাই দাবি সমস্ত তথ্য প্রমাণ লোপাট করার ক্ষেত্রে যার প্রধান অবদান সেই পুলিশমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পদত্যাগ । ইস্যু একটাই : ‘দফা এক দাবি এক মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ’ । আমরা এই দাবিতে আছি এবং আমার বিশ্বাস সেদিন বাঁধভাঙ্গা জনতা রাস্তায় নামবে ।’
আরজিকর, কসবা সহ পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলায় কন্যাদের সুরক্ষা’র দাবিতে বিজেপি যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার ডাকে আজ সন্ধ্যায় কলকাতার যাদবপুরে ‘কন্যা সুরক্ষা যাত্রা’য় অংশগ্রহণ করেন শুভেন্দু অধিকারী । গড়িয়া মোড় থেকে রানিকুঠি মোড় পর্যন্ত পদযাত্রায় তিনি পা মেলান ।।