এইদিন ওয়েবডেস্ক,রাজস্থান,০৫ জুলাই : রাজস্থানের ভিলওয়ারা জেলার জাহাজপুরে সীতারাম(২৫) নামে এক হিন্দু যুবকের গাড়ি মসজিদের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা একটি সবজির ঠেলা গাড়ির সাথে ধাক্কা খায়। যখন সে ক্ষমা চাইতে গাড়ি থেকে নামে, তখন কাছে দাঁড়িয়ে থাকা মুসলিম জনতা তাকে নৃশংসভাবে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে। এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, সিকান্দার, সীতারাম, দিলকুশ এবং দীপক টঙ্ক জেলা থেকে জাহাজপুরে এসেছিলেন। শুক্রবার (৪ জুলাই, ২০২৫) সন্ধ্যায় এখান দিয়ে যাওয়ার সময় টাকিয়া মসজিদের কাছে তাদের গাড়িটি একটি আলু-পেঁয়াজের ঠেলা গাড়ির সাথে ধাক্কা খায়। এই গাড়িটি রইস ফকির নামে এক ব্যক্তির। আর এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড হল শরিফ মহম্মদ । যদিও সে চম্পট দিয়েছে ।
গাড়ির সংঘর্ষের ফলে আলু এবং পেঁয়াজ মাটিতে ছড়িয়ে পড়ে। সীতারাম পুরো বিষয়টি নিয়ে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে এবং সবজি তুলতে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। তিনি হাত জোড় করে জনগণের কাছে ক্ষমা চান এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও বলেন।
তবে, সীতারামের কথা শোনার পরিবর্তে, সেখানকার পরিবেশ সহিংস হয়ে ওঠে । পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মুসলিম যুবকদের ভিড়ের মধ্যে থেকে বাবু খান, ওয়াসিম, শাহরুখ, সাদ্দাম, হাসনাইন, মহসিন, সাহিল, ইসলাম, তানভীর, শরীফ, হানিফ, আবিদ, ইদ্রিস, গুলজার এবং মুর্তজা সীতারামকে ঘটনাস্থলেই পিটিয়ে মেরে ফেলে । এমনকি তার বন্ধুরা তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল। তারাও এতে আহত হয়েছেন । কিন্তু সীতারামকে এতটাই নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছিল যে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
মুসলিম জনতা এখানেই থেমে থাকেনি। তারা প্রথমে গাড়ির তারগুলি কেটে দেয় যাতে চার হিন্দু যুবক কোথাও যেতে না পারে। সীতারামকে মোটরসাইকেলে করে তিন বন্ধু কোনওভাবে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে, ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে সীতারামের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে স্থানীয় মানুষের ক্ষুব্ধ ভিড় জাহাজপুরের হাসপাতালে জড়ো হয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় । তারা দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায় । বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দলও এই ঘটনার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। বিজেপি বিধায়ক গোপীচাঁদ মীনাও সেখানে পৌঁছে ঘটনার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন।
এই ঘটনার খবর পেয়ে ভিলওয়ারায় প্রচুর পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বাজার সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ একজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে এবং সন্দেহভাজন অন্যান্য ব্যক্তিদেরও আটক করা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সীতারামের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় জনগণ হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বর্বরোচিত সহিংসতা ও হত্যার সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন । নিহত যুবক শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ছিলেন বলে জানা গেছে।।

